কাশ্মীরের পেহেলগাম ইস্যুতে উত্তেজনার মধ্যে একে অপরের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। বিবিসি জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশে অন্তত ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। উত্তেজনা এখনো থেমে নেই। যেকোনো সময় আরও বড় পরিসরে হামলার শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। চিরবৈরি দু’দেশের সংঘাতে এখন পর্যন্ত কী কী সমরাস্ত্রের ব্যবহার হলো, তা নিয়ে কৌতূহল অনেকের। এই প্রতিবেদনে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরকে নিয়ে দুটি যুদ্ধ ছাড়াও একবার সীমিত তবে তীব্র সংঘাতে জড়িয়েছিল। কিন্তু এই ভূ-খণ্ড নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ কেন? আর এর শুরুই বা কীভাবে হয়েছে? আজ বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ভারত স্বাধীন বা পাকিস্তান সৃষ্টির আগে থেকে কাশ্মীর অঞ্চলে সংঘাত ছিল।
কানাডা বিক্রির জন্য নয় বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতার বৈঠকের সময় এ কথা বলেছেন তিনি। তাদের আলাপের মাঝে হঠাৎ ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার বিষয়টি উত্থাপন করলে এমন কড়া জবাব দেন অটোয়ার ওই নেতা। ২৮ এপ্রিল কানাডার জাতীয় নির্বাচনে বিশাল জয়ের পর মঙ্গলবার প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান কার্নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুর রাতে ভারত যখন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তখন তারা বাড়ি থেকে দৌঁড়ে গিয়ে আশপাশের পাহাড়গুলোতে পালিয়ে ছিলেন। তারা জানান, বিস্ফোরণে মাটি কেঁপে কেঁপে উঠছিল আর শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল, তখন মসজিদের মাইকে আশ্রয় খুঁজে নিতে বলা হয়।
উপমহাদেশে আবারও যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত বেশ কিছুদিন থেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত ভারত একযোগে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার প্রকৃত চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি। বেশ কিছু বেসামরিক লোক মারা যাওয়ার খবর এসেছে। এ ছাড়া ভারত পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে বলে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ ২০২৫ সালে, সাড়ে ১২ কোটি মানুষের প্রাণহানি: যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা। এই গবেষণা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ এটি ২০১৯ সালে করা। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কাশ্মীর বিরোধের জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে।
ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ। উভয় দেশকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দুই দেশের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার। চলমান পরিস্থিতি পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে উভয় দেশকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
এটাই কি শেষ, নাকি শেষের শুরু? বুধবার ভোরে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের কিছু অংশে সন্ত্রাসী অবকাঠামোর কথা উল্লেখ করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। মোদি সরকার বলেছে যে, এপ্রিল মাসে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ ছিল এই হামলা। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন।
ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের হামলায় পাকিস্তানে বিপুল পরিমাণ মানুষ মারা যাওয়ার পর বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। সেই বৈঠকে সেনাবাহিনীকে এই অনুমতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে ভারতের হামলার যেভাবে জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তার প্রশংসা করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযানের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ভারতের দাবি, তারা এই অভিযানে পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তায়েবার ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, এই হামলায় বেসামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায় বুধবার মধ্যরাতে, যখন পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রাণঘাতী হামলা চালায় নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের মতে, ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ এর জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভূপাতিত করেছে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন। এসব ঘটনা দক্ষিণ এশীয় এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনাকে আরো তীব্র করে তুলেছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোয় একাধিক এশিয়ান এয়ারলাইন্স ইউরোপগামী ও ইউরোপফেরত ফ্লাইট বাতিল কিংবা রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার একযোগে বিভিন্ন বিমানসংস্থা এই ঘোষণা দেয়। দেশটির দি স্টার অনলাইন জানিয়েছে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স অমৃতসরগামী সব ফ্লাইট ৭-৯ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে তাদের এমএইচ২ (লন্ডন) ও এমএইচ২২ (প্যারিস) ফ্লাইট দুটি দোহায় অবতরণ করে জ্বালানি নিয়ে পুনরায় উড্ডয়ন করেছে।
ভারত “আগুন নিয়ে খেলছে” বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী খার। এছাড়া ভারতের এই হামলাকে তিনি “অযৌক্তিক, ভিত্তিহীন এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। বুধবার (৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পারমাণবিক শক্তিধর আরেকটি রাষ্ট্রের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ভারত যেন “আগুন নিয়ে খেলা করছে” বলে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন।
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ এবং পাঞ্জাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদে আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে মুজাফফরাবাদের বাসিন্দা মুহাম্মদ ওয়াহিদ ও পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মুহাম্মদ ইউনিস শাহের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময়ের বর্ণনা দিয়েছেন তাঁরা।
পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই টান টান উত্তেজনা চলছিল। এবার তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিল। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের ছয়টি জায়গায় হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এ অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’।