পড়শিরা যেভাবে বদলে দিচ্ছে পাক-ভারত বৈরিতা
চলতি বছরের মার্চে চীন সফরে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় তিনি বলেন, ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো (সেভেন সিস্টার্স) স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। এ অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক হলো বাংলাদেশ। এছাড়া চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘অপারেশন সিঁদুর’কে কেন্দ্র করে চলা ‘যুদ্ধে’ পাকিস্তানকে সরাসরি সমর্থন করায় তুরস্কের বিরুদ্ধে ফুঁসছে গোটা ভারত। এরইমধ্যে নয়াদিল্লি-আঙ্কারার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারত থেকে আমদানি করা সামগ্রীতেই নাকি ফৌজি ড্রোন তৈরি করছে তুরস্ক। তারপর সেগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের হাতে। এমন খবর বের হতেই তুরস্কে ড্রোন নির্মাণ সামগ্রী অবিলম্বে রপ্তানি বন্ধের দাবি তুলেছেন ভারতীয়রা।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটেছে। তবে দুপক্ষের সংঘাত মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং আস্থা তৈরিতে সংলাপের জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। শনিবার (১৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দল ত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইউন সুক ইওল
বিপজ্জনক এক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণরেখা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি অর্থবিল কংগ্রেসে প্রাথমিক পর্যায়ে তার দলেরই কয়েকজন আইনপ্রণেতা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প নিজেই একে ‘বিশাল ও সুন্দর বিল’ হিসেবে প্রচার করে আসছিলেন। শনিবার (১৭ মে) বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আরো ব্যয় কমানোর দাবি করে বিলটির বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের সাথে যোগ দিয়ে এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন পাঁচজন রিপাবলিকান।
ভারত ও চীনের মধ্যে পশ্চিমারা সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনার মধ্যেই এমন দাবি করলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ল্যাভরভের দাবি, ভারত ও চীনকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ অঙ্ক কষে এশিয়ার দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি করতে তৎপর পশ্চিমা দেশগুলো। আর্থিকভবে তাদের দুর্বল করার এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানে অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে খুব একটা বাণিজ্য করে না, অথচ তাদের দারুণ সম্ভাবনা আছে। ট্রাম্প বলেছেন, পাকিস্তানিরা ব্রিলিয়ান্ট (মেধাবী) এবং অসাধারণ সব পণ্য তৈরি করে। তিনি আরও বলেন, আমি সেখানে অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছি— যা আপনারা বিশ্বাসই করবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত রিজওয়ান সাঈদ শেখ অভিযোগ করেছেন, ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা একটি ‘পূর্বলিখিত যুদ্ধের চিত্রনাট্য (স্ক্রিপ্ট)’ অনুযায়ী হয়েছে। ইসলামাবাদে ‘ইউম-ই-তাশাক্কুর’ উপলক্ষে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো দক্ষিণ এশিয়ার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন এবং এই উত্তেজনা কমাতে মার্কিন নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) ওই হামলার দায় স্বীকার করে। তবে ভারতের দাবি, এই গোষ্ঠী পাকিস্তান–সমর্থিত। পাকিস্তান এ অভিযোগ নাকচ করে দিলেও দেশটিতে হামলা চালায় ভারত।
সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারাকে হত্যা পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক আইনপ্রণেতা জিন শাহিন। ডেমোক্র্যাট ওই রাজনীতিবিদ দাবি করেন, সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তার দেশই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগ মুহূর্তেও শারাকে হত্যার ছক কষছিল মার্কিন প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত জর্ডানের রাজার হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র বলেও দাবি করেন।
আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের শীর্ষ সম্মেলন। ইউরোপের প্রায় সব দেশের শীর্ষ নেতারাই অংশ নিয়েছেন এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে। সম্মেলন উপলক্ষে আলবেনিয়ার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় লাল গালিচা সংবর্ধনার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে দীর্ঘ তিন বছর পর শুক্রবার (১৬ মে) প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় বসেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত দুই ঘণ্টার কম সময়ের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দেশ দুইটি। তবে উভয় দেশ এক হাজার করে যু্দ্ধবন্দি বিনিময়ে একমত হয়েছে।
পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। আমরা প্রায় ৯০ হাজার মানুষের জীবন হারিয়েছি এবং আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের এই প্রচেষ্টা কেবল নিজের সীমান্তের ভেতরে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ছিল না, বরং গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও পরিচালিত হয়েছে।