| ২১ জুন ২০২৫


ইরান-ইসরাইল সংঘাতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কার আশঙ্কা!

  • আপডেট টাইম : 18-06-2025 ইং
  • 2328 বার পঠিত
ইরান-ইসরাইল সংঘাতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কার আশঙ্কা!
ছবির ক্যাপশন: ইরান-ইসরাইল সংঘাতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কার আশঙ্কা!

ইরান-ইসরাইল চলমান সংঘাতের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। হরমুজ প্রণালি বন্ধের গুঞ্জনে অস্থিতিশীল তেলের বাজারের প্রভাবে বাড়তে পারে খাদ্যপণ্য, পোশাক ও রাসায়নিক দ্রব্যের দাম। অর্থনীতিবিদরা আরও বলছেন, মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা আর প্রবৃদ্ধির হার সচল রাখতে ভোগান্তিতে পড়তে পারে তেল আমদানিকারক দেশগুলো।

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত নয় বিশ্ব। বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। ২০২০ সালে কোভিড আর ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, ইরান-ইসরাইল দীর্ঘ মেয়াদি সংঘাতের পথে হাঁটলে- তা আরও ঘনীভূত হবে।

গেল শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার জেরে একে অপরের জ্বালানি স্থাপনা, তেল শোধনাগার, নৌ বন্দর, এয়ারপোর্ট, সামরিক স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে ইরান ও ইসরাইল। এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের তেল পরিবহনের সামুদ্রিক রুট হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। আগামী রোববার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশটির শেয়ারবাজারও।

হরমুজ প্রণালি বন্ধের আঁচ অপরিশোধিত তেলের বাজারে। সোমবার ব্রেন্ট ক্রুডের এক ব্যারেল তেলের বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪.৬০ ডলারে। ইরানে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার আগে অর্থাৎ গেল বৃহস্পতিবারের তুলনায় যা প্রায় সাত শতাংশ বেশি।

আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, সমুদ্রপথে সারাবিশ্বে সরবরাহকৃত মোট তেলের এক তৃতীয়াংশই পরিবহন করা হয় এই প্রণালি ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ২১০ ব্যারেল তেল এই জলপথ মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। ফলে, বিশ্বের অধিকাংশ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের এই রুট বন্ধ হয়ে গেলে জ্বালানির বাজার যে অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে- এ নিয়ে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই।

তেল দাম বাড়লে বেড়ে যাবে বিভিন্ন ভোজ্য ও নিত্য-ব্যবহার্য পণ্যের উৎপাদন খরচ। বিশেষ করে জ্বালানি নির্ভর খাত যেমন খাবার, পোশাক ও রাসায়নিক দ্রব্যের বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি। আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হচ্ছে, তেল আমদানিকারক দেশগুলোতে এর প্রভাবে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে জি সেভেন জোট তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে সুদের হার কমানোর একটি চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। জ্বালানির দাম বাড়লে বড় ধাক্কা লাগবে তাদেরও।

ইরান-ইসরাইল এয়ার স্ট্রাইকের প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে বেশ কিছু বিমান সংস্থা। আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে কোনো কোনো দেশ। অঞ্চলটির বৃহত্তম বিমান সংস্থা এমিরেটস জানিয়েছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ইরাক, জর্ডান, লেবানন এবং ইরানগামী ও এসব দেশ থেকে আসা ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।

আগামী রোববার (২২ জুন) পর্যন্ত অবুধাবি ও তেল আবিবের মধ্যে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার ফ্লাইট সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। ফলে, চলমান এই দ্বন্দ্বের কারণে জ্বালানি খাতের পর সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছে এই অঞ্চলে বিমান সেবাদানকারী স্থানীয় ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ