| ০৭ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতার ইঙ্গিতে চাঙ্গা তেলের বাজার

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 16-05-2025 ইং
  • 24721 বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতার ইঙ্গিতে চাঙ্গা তেলের বাজার
ছবির ক্যাপশন: যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতার ইঙ্গিতে চাঙ্গা তেলের বাজার

ডেস্ক নিউজ: 

বিশ্ববাজারে আবারও চাঙা হচ্ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার শীতল পরিণতি এবং ৯০ দিনের সাময়িক বিরতির ঘোষণা বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারেও। টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো দাম বাড়ার পথে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই। খবর আরব নিউজ

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২৬ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স প্রতি ব্যারেল ৬৪.৫২ ডলারে দাঁড়ায়, যা আগের দিনের তুলনায় মাত্র ১ সেন্ট কম। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ২ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৬১.৬৪ ডলারে পৌঁছায়।

তবে বাজারে কিছুটা সংশয়ও রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তির পথে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই এগিয়ে এবং তেহরান ‘আংশিকভাবে’ শর্তে রাজি হয়েছে। যদিও আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, চূড়ান্ত সমঝোতার আগে এখনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মীমাংসিত হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি চূড়ান্ত হলে ইরানের ওপর থেকে তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এতে দৈনিক ৪ লাখ ব্যারেলের মতো অতিরিক্ত তেল বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে দামের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবুও, চলতি সপ্তাহে দুই প্রধান তেল সূচকই প্রায় ১ শতাংশের মতো বাড়তি অবস্থানে রয়েছে। মূল কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতি ও তেলভোক্তা- পরস্পরের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ না করে ৯০ দিনের জন্য ‘কুলিং পিরিয়ডে’ যেতে রাজি হয়েছে। এতে বৈশ্বিক চাহিদার অনিশ্চয়তা কিছুটা কমে এসেছে।

বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই (ফিচ সলিউশনের অংশ) জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে দীর্ঘমেয়াদী অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও ২০২৫ সালে ব্রেন্ট তেলের গড় মূল্য হতে পারে ৬৮ ডলার, আর ২০২৬ সালে ৭১ ডলার। ২০২৪ সালের গড় ৮০ ডলারের তুলনায় এটি কিছুটা কম হলেও বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলেই মনে করছেন তারা।

তবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, ওপেক+ দেশগুলোর উৎপাদন হ্রাস প্রত্যাহারের ফলে আগামী বছর বৈশ্বিক সরবরাহ দৈনিক ৩.৮ লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে। সংস্থাটি একই সঙ্গে ২০২৫ সালের চাহিদা পূর্বাভাস সামান্য ২০ হাজার ব্যারেল বাড়ালেও, চূড়ান্তভাবে একটি উদ্বৃত্ত পরিস্থিতির আভাস দিয়েছে।

অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন কেন্দ্রীভূত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের দিকে। সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা অর্থনীতিকে চাঙা করতে পারে এবং এর প্রভাব পড়তে পারে তেলের চাহিদার ওপরও।

তবে এরই মধ্যে মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) তথ্য বলছে, দেশটিতে তেলের মজুত প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেড়েছে। এতে বিশ্বের বৃহত্তম তেলভোক্তা দেশের চাহিদা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ‘বাণিজ্য বিরতির মতো ইতিবাচক পদক্ষেপ বাজারে আশার সঞ্চার করলেও, ইরানের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন এবং সরবরাহ উদ্বৃত্তের শঙ্কা ভবিষ্যতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।’

ফলে বিশ্ববাজারে এখন তেলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভূরাজনৈতিক অগ্রগতি, সরবরাহ-চাহিদার ভারসাম্য এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আর্থিক নীতির ওপর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ