| ০৮ জুন ২০২৫

সেনা প্রত্যাহারেও উত্তপ্ত বাক্যযুদ্ধে ভারত-পাকিস্তান

রিপোর্টারের নামঃ সেনা প্রত্যাহারেও উত্তপ্ত বাক্যযুদ্ধে ভারত-পাকিস্তান
  • আপডেট টাইম : 21-05-2025 ইং
  • 18226 বার পঠিত
সেনা প্রত্যাহারেও উত্তপ্ত বাক্যযুদ্ধে ভারত-পাকিস্তান
ছবির ক্যাপশন: সেনা প্রত্যাহারেও উত্তপ্ত বাক্যযুদ্ধে ভারত-পাকিস্তান

নিয়ন্ত্রণরেখা আর আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুদ্ধকালীন অবস্থান থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেনা সরিয়ে নেবে ভারত ও পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরার এমন সময় একে অন্যের ওপর কাঁদা ছোড়াছুড়ি অব্যাহত রেখেছে দুই দেশই। ভারতের এক সেনা কর্মকর্তার দাবি, পুরো পাকিস্তানে হামলার জন্য ভারতে যথেষ্ট সমরাস্ত্র আছে। অন্যদিকে, পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, দেশের নৌবাহিনী এতো শক্তিশালী যে, সমুদ্রপথে শত্রুপক্ষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালাতে পারবে না।

পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলা, সীমান্তে বন্দুকযুদ্ধ, এরপর অপারেশন সিন্দুর আর অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুসের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভারত–পাকিস্তান সংঘাত। শান্তি ফিরেছে নিয়ন্ত্রণ রেখার এপার থেকে ওপারে।

ভারত আর পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ৩০ মে'র মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা আর সীমান্ত থেকে যুদ্ধকালীন অবস্থানে মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহার করে নেবে দুই দেশই। যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ হিসেবে সামরিক অবস্থান স্বাভাবিক করাই হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।

যদিও সীমান্তে উত্তেজনা কমলেও ভারত–পাকিস্তানের আগ্রাসী বাক্য বিনিময় চলছেই। ভারতের আর্মি এয়ার ডিফেন্সের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল সুমের ইভান ডিচৌহান বলেছেন, পুরো পাকিস্তানে হামলার সক্ষমতা আছে ভারতের। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যদি রাওয়ালপিন্ডিতে স্থানান্তর করা হয়, মাটির গভীরে লুকানোর বিকল্প নেই। পুরো পাকিস্তানই ভারতের হামলার সীমার মধ্যে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রয়েছে গভীরে হামলার সক্ষমতাও।

এদিকে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, দেশের সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীর শক্তিও বাড়ছে। শত্রুপক্ষের কখনই সাহস হবে না, সমুদ্রপথে পাকিস্তানে হামলার। শত্রুরা মানতে বাধ্য যে, সমুদ্রে আধিপত্য বিস্তারের যোগ্যতা পাক নৌবাহিনীর হয়েছে। দেশের নৌ, বিমান আর সেনা, এই তিনবাহিনী একসঙ্গে প্রতিহত করলে পাকিস্তানের ক্ষতি করাই কঠিন হবে।

এমন অবস্থায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দিকে ছুড়ে দিয়েছেন প্রশ্ন। তার মতে, ভারত কয়টি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, সেই খবর পাকিস্তানের কাছে যাওয়ার বিষয়টি গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার সামিল। এছাড়া, ভারত যে হামলা করবে, তা পাকিস্তান আগে থেকে জানতো বলেও দাবি করেন তিনি।

কংগ্রেস দাবি করে, ভারতের হামলার খবর আগে থেকে পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। কংগ্রেস জনসংযোগ অধিদপ্তরের মুখপাত্র পবন খেরা দাবি করেন, ভারত সরকারের গোয়েন্দাগিরির কারণেই পালিয়েছে মাসুদ আজহার, হাফিজ সাঈদ। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের দুর্বলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মঙ্গলবার থেকে জয় হিন্দ সভা শুরু করতে যাচ্ছে কংগ্রেস।

এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবদান আবারও অস্বীকার করেছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, পারস্পরিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আবারও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি কার্যকরে অবদান রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ