বামদের ওপর ভর করে দেশকে অস্থিতিশীল করার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানিসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের ইস্যুকে সামনে রেখে বাম রাজনৈতিক দল এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গণজাগরণ মঞ্চের সেই কুশীলবরাও।
৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা ভারতে দেশান্তরী হলেন। এছাড়া তার আর কোনো গত্যন্তর ছিল না। প্রথমে মনে হয়েছিল তিনি ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশে থাকার চেষ্টা করবেন। পাশ্চাত্যের কোনো উন্নত দেশ তাকে আশ্রয় দানে অস্বীকার করে। এমনকি রাশিয়ার স্যাটেলাইট নামে পরিচিত বেলারুশেও তার আশ্রয় হয়নি।
অনেকেই আজকাল জিজ্ঞাসা করেন, মুজিববাদ কাকে বলে? আসলে, মুজিববাদ নামক ধারণার আবিষ্কারক হলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি মার্ক্সবাদ, মাওবাদ আর নানাবাদের মতোই একটা কিছু জনগণের সামনে উপস্থিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিব তো ইনটেলেকচুয়াল ছিলেন না। ভাসানীর যেমন রবুবিয়াত-সংক্রান্ত তত্ত্ব আছে, শেখ মুজিব তো তেমন কোনো তত্ত্ব রেখে যাননি।
পতিত স্বৈরাচার শেখ হিাসিনার উস্কানীতে দেশব্যাপী নারকীয়কান্ড শুরু হয়েছে। নিরপরাধ ছাত্র জনতাকে হত্যার পরও হাসিনার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই বরং ভারতের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ৩৬শের স্বতস্ফূর্ত বিপ্লবের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তার কথা এদেশের মানুষ শুনতে চায় না। তার অপকর্মের কারণে তার মৃত বাবাকেও মানুষ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে তবুও সে নিজেকে না শুধরিয়ে বরং তার গুন্ডাবাহিনী ছাত্র লীগকে ব্যবহার করে আবারো রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।