| ২১ এপ্রিল ২০২৫
ad728

সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র: সামনে বাম, পেছনে আওয়ামী লীগ

রিপোর্টারের নামঃ Momtaz Uddin Ahmed Emon
  • আপডেট টাইম : 18-03-2025 ইং
  • 7433 বার পঠিত
সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র: সামনে বাম, পেছনে আওয়ামী লীগ
ছবির ক্যাপশন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র: সামনে বাম, পেছনে আওয়ামী লীগ

বামদের ওপর ভর করে দেশকে অস্থিতিশীল করার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানিসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের ইস্যুকে সামনে রেখে বাম রাজনৈতিক দল এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গণজাগরণ মঞ্চের সেই কুশীলবরাও।

যারা প্রায় নিয়মিত শাহবাগ, জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড় প্রভৃতি এলাকায় সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করছে। এসব সংগঠনের কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে আওয়ামী দোসররা। এজন্য বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, বাস্তবতা হলো-সামনে বাম, পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ। আর নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে আমাদের বন্ধুপ্রতিম একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মূলত মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও বাস্তবে বেশির ভাগ বাম দল একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে। এজন্য বাম দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের জোটবদ্ধ আন্দোলন করার বহু নজির রয়েছে। এছাড়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছে প্রথম পছন্দের দল আওয়ামী লীগ হলেও বিকল্প পুঁজি হচ্ছে বাম দল। আওয়ামী লীগ এবং বাম দলগুলোকে দিয়ে তারা নানা কৌশলে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। আওয়ামী লীগ এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়ায় বাম সংগঠনগুলোকে বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠে নামানো হচ্ছে।

এদিকে হঠাৎ করে বামপাড়ার দলগুলো এবং গণজাগরণ মঞ্চের কুশীলবদের এভাবে রাজপথে সক্রিয় হওয়া নিয়ে রাজনীতির অন্দরমহলে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশেষ করে গত বছরের জুন-জুলাই-আগস্টজুড়ে দেশব্যাপী গড়ে ওঠা কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবির আন্দোলনে যাদের মাঠেই দেখা যায়নি, সেই বামরাই হুট করে এখন কেন রাজপথে সরব ও সক্রিয়। কিন্তু কেন-গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা দেশের বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত।

গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাম দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি বেশ পুরোনো। তাদের বিরুদ্ধে সুবিধাবাদী রাজনীতি করার অভিযোগও প্রতিষ্ঠিত। কিছু বাম দল যেমন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল, এখনো আছে। তেমনই কিছু বাম দল আবার বিএনপির সঙ্গেও আওয়ামী লীগবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে ছিল, এখনো আছে। আবার কিছু বামপন্থি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বিদলীয় মেরূকরণের বাইরে নিজস্ব শক্তির বিকাশে কাজ করছে। তাই ঢালাওভাবে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না। তবে এটা ঠিক, বামপন্থি অনেক দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পুরোনো এবং ঐতিহাসিক সখ্য রয়েছে। সুবিধাবাদী রাজনীতির অংশ হিসাবে তারা আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করেছে, আওয়ামী লীগের বদান্যতায় মন্ত্রী-এমপি হয়েছে। নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খণ্ডন করে দলটির সাধারণ সম্পাদক সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স রোববার যুগান্তরকে বলেন, ঢালাওভাবে এসব অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত এবং পরিকল্পিত অপপ্রচার। যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তাই আমাদের কাছে এ অভিযোগ একেবারেই গুরুত্বহীন। তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের যে চেতনা, এর মূলে রয়েছে বৈষম্যমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেরও মূল চেতনা ছিল। আমরা মনে করি, বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার যে লড়াই, সেই লড়াই অব্যাহত রাখতে বাম বিকল্প শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। পাশাপাশি দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উত্তরণ এবং জনজীবনে স্বস্তি, শান্তি ও নিরাপত্তায় চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ইন্টিগসোল