| ০৭ জুন ২০২৫

ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ও দীর্ঘতম ‘ডগ ফাইট’, সম্মুখ যুদ্ধে শুধু পাকিস্তানেরই ১২৫ যুদ্ধবিমান

  • আপডেট টাইম : 08-05-2025 ইং
  • 37277 বার পঠিত
ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ও দীর্ঘতম ‘ডগ ফাইট’, সম্মুখ যুদ্ধে শুধু পাকিস্তানেরই ১২৫ যুদ্ধবিমান
ছবির ক্যাপশন: ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ও দীর্ঘতম ‘ডগ ফাইট’, সম্মুখ যুদ্ধে শুধু পাকিস্তানেরই ১২৫ যুদ্ধবিমান

ডেস্ক নিউজ: 

পাকিস্তানি ও ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মধ্যে যে ‘ডগ ফাইট’ হয়েছে, সেটি সাম্প্রতিক যুদ্ধবিমানের ইতিহাসে অন্যতম ‘বৃহৎ ও দীর্ঘতম’ সংঘর্ষ ছিল। সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে এমনটি জানিয়েছেন একজন জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র।

সূত্রটি জানায়, মোট ১২৫টি যুদ্ধবিমান এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সম্মুখ লড়াই করেছে, তবে কোনো পক্ষই অপর পক্ষের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি। তিনি আরও জানান, কখনো কখনো ১৬০ কিলোমিটার (১০০ মাইল)-এর বেশি দূরত্ব থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর ঠিক ১টায় আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ পাকিস্তানের অন্যান্য জায়গায় ভারত হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলা শুরু করে। এ সময় ভারতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়। পাকিস্তানের এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন,  সেই সময়ই দুই দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টার  (সম্মুখ লড়াই) ডগ ফাইট হয়। আর এ যুদ্ধকে আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ‘বড় এবং দীর্ঘ ডগ ফাইট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ১২৫টি যুদ্ধবিমান পাল্টা হামলায় অংশ নিলেও দুই দেশের কোনো ফাইটার জেটই একে অপরের অংশে অনুপ্রবেশ করেনি। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মধ্যে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে, ২০১৯ সালে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে ভয়াবহ ডগফাইট হয়েছিল। তখন এক ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নিজেদের ভূখণ্ডে ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তান। ওই সময় অভিনন্দন নামে এক পাইলটকে আটক করে তাকে সংবাদমাধ্যমের সামনে আনা হয়। তবে দুই দেশের কেউই এবার এমনটি চায়নি। তাই চিরবৈরি কোনো দেশই নিজেদের পাইলটদের সীমান্ত অতিক্রম করতে অনুমোদন দেয়নি।

এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ভারতের যুদ্ধবিমানকে একাধিকবার চেষ্টা করতে হয়েছে। এ সময় সম্ভাব্য হামলাস্থলের সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব সতর্ক করার চেষ্টা করেছে ইসলামাবাদ। এতে তারা হতাহতের সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সশস্ত্র কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ