| ২১ জুন ২০২৫


ঘরে বসেই লাখ টাকার বেতন-ভাতা নিচ্ছেন শাবিপ্রবির সাবেক দুই প্রশাসক

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 19-06-2025 ইং
  • 1934 বার পঠিত
ঘরে বসেই লাখ টাকার বেতন-ভাতা নিচ্ছেন শাবিপ্রবির সাবেক দুই প্রশাসক
ছবির ক্যাপশন: ঘরে বসেই লাখ টাকার বেতন-ভাতা নিচ্ছেন শাবিপ্রবির সাবেক দুই প্রশাসক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দুই সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছুটি না নিয়েই ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত রয়েছেন। হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রতি মাসে ঘরে বসে তারা পাচ্ছেন লাখ টাকারও বেশি বেতন-ভাতা। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন এবং সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময়কার আলোচিত রুদ্র সেন হত্যা মামলায় এ দু’জনই আসামি। আন্দোলনের পর তারা আর সশরীরে ক্যাম্পাসে ফেরেননি। তবে তাদের কেউই ছুটির আবেদন করেননি এবং কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

অধ্যাপক কবির শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক এবং আন্দোলনের সময় তিনি প্রোভিসির দায়িত্বে ছিলেন। অপরদিকে, অধ্যাপক কামরুজ্জামান ছিলেন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং তৎকালীন প্রক্টর।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বিভিন্ন ক্যাম্পাসের মতো শাবিপ্রবিতেও প্রশাসন পরিবর্তন হয়। ওই বছরের ১৮ জুলাই পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে পড়ে প্রাণ হারান কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও পলিমার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন। পরে তার মৃত্যুর ঘটনায় ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অধ্যাপক কবিরকে ৯ নম্বর এবং অধ্যাপক কামরুজ্জামানকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক কবির প্রতি মাসে মূল বেতন ৭৮,০০০ টাকা ও অন্যান্য ভাতা মিলিয়ে ১,০৯,০৪১ টাকা এবং অধ্যাপক কামরুজ্জামান ৬৬,০০০ টাকা মূল বেতনসহ মোট ১,০৯,০৩৩ টাকা বেতন পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল বাতেন এবং বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রেদওয়ান জানান, উক্ত দুই শিক্ষক আন্দোলনের পর কখনো সশরীরে ক্যাম্পাসে আসেননি। তবে বিভাগীয় কিছু অনলাইন সভায় তাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে তাদের পাঠদানের জন্য কোনো কোর্সও অফার করা হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নেওয়া হবে। স্থায়ী উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসার পর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ