মোসাদ। ইসরাইলের একটি দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। এ সময়ে ইরানে যে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল, তার বড় অংশে ভূমিকা আছে এই গোয়েন্দা সংস্থার। ১৩ই জুন শুক্রবার শেষ রাতে ইরানে আগ্রাসী হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) সঙ্গে যুক্ত হয় মোসাদ এজেন্টরা। তারা রাজধানী তেহরানেই বছরের পর বছর গোপন ঘাঁটি স্থাপন করে চোরাই পথে অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলে সেখানে। এছাড়া ইরানের প্রশাসন, সামরিক, পারমাণবিক প্রতিটি ক্ষেত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ে তাদের উপস্থিতি ও কার্যক্রম। বিষয়টি স্পষ্ট হয় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের কথা। তিনি ২০২৪ সালে জানিয়েছেন, ইরানি গোয়েন্দা সংস্থায় মোসাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে। তারা সব তথ্য পাচার করে দিচ্ছে। তা ঠেকাতে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ইউনিটের প্রধান নিজেই মোসাদের গুপ্তচর ছিলেন। ২০২১ সালে ফাঁস হয় তার পরিচয়। আহমাদিনেজাদ আরও দাবি করেন, ইরানের অন্তত ২০ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ডাবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন এবং তারা গোপনে ইসরাইলকে তথ্য সরবরাহ করতেন। এর পর আর কি বলার থাকতে পারে।
১৯৩৯ সালে শুরু হয়ে ১৯৪৫ সালে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে স্বাধীন হয় ইসরাইল। তার আগে আরব-ইসরাইল সংকটের ফলে ইসরাইল বুঝে যায় তাকে টিকে থাকতে হলে ভিন্ন কৌশলে এগুতে হবে। ফলে ১৯৪৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়নের পরামর্শে মোসাদ গঠিত হয়। তাদেরকে ছড়িয়ে দেয়া হয় সারাবিশ্বে। দেশে দেশে তারা কার্যক্রম চালাতে থাকে। ক্রমশ পরিপক্ব হয়ে ওঠে। দুর্ধর্ষ সব অভিযান চালায় তারা। মোসাদ গঠন করে বিশ্বজুড়ে যখন দম্ভের সঙ্গে ইসরাইল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, তারা আত্মতুষ্টিতে মেতে থাকেনি। ক্রমশ ধারালো হয়েছে তাদের কৌশল। এ জন্যই তারা আর্জেন্টিনা সহ বিভিন্ন দেশে ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযান চালিয়েছে নির্বিঘ্নে। এর মধ্য দিয়ে তারা যখন তীব্রতর এক সংগঠনে পরিণত হয়েছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ বেড়েছে। শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব, স্বীয় স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব তাদের প্রকট হয়েছে। অন্যদিকে ইহুদি ইসরাইল ক্রমশ বিশ্বে তাদের সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করেছে।
বলা হয়, মুসলিম জাতি একটি মানবশরীরের মতো। তার কোথাও মশা বসলে পুরো দেহ যেমন সাড়া পায়, তেমনি একজন মুসলিম আক্রান্ত হলে পুরো মুসলিম জাতির মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু তা হয়নি। ক্রমশ মুসলিমরা বিভক্ত হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও তা বর্তমানে স্বাভাবিক। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষের দিকে করা আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীনে বাহরাইন সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ শুধু নিজের স্বার্থে সেই চুক্তির অধীনে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ইরান-ইরাক যুদ্ধে খেলা হয়েছে। ইরাকের বিরুদ্ধে যখন নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায় তখন প্রতিবেশী কুয়েতে সামরিক ঘাঁটি বসাতে অনুমতি দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। সেখান থেকেই ইরাক যুদ্ধ পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র।
মুসলিম দেশগুলো এভাবেই নিজেদের একক স্বার্থ এবং অন্তর্কোন্দলে লিপ্ত থাকার ফলে সুবিধা নিয়েছে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো। গাজায় যখন নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস, তখনও মুসলিম দেশগুলো মুখ বন্ধ করে বসে আছে। অথচ অন্য কোনো দেশ যদি ইসরাইলে কোনো একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা চালায় তাহলে প্রতিক্রিয়া কি হবে? পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইসরাইলের মিত্ররা কি এখনকার আরব রাষ্ট্রগুলো, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মতো মুখ বন্ধ করে বসে থাকবে? নিশ্চয়ই নয়। কারণ, তাদের মধ্যে জাতিগত স্বার্থে একতা আছে, ঐক্য আছে। বর্তমান মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তার বিন্দুমাত্রও উপস্থিত নেই।
এই লেখাটি শেষ করতে চাই মোসাদের হাজারো কর্মকাণ্ডের সামান্য কিছু তথ্য শেয়ার করে। মোসাদ ইসরাইলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিশ্বজুড়ে পরিচিত এই সংস্থাটি মূলত গুপ্তচরবৃত্তি, গোপন অভিযান এবং সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। এটি ইসরাইলি গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের তিনটি মূল শাখার একটি। অন্য দুটি হলো আমান (সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ) এবং শিন বেত (আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা)। মোসাদের প্রধান সরাসরি এবং কেবলমাত্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করেন। তাদের বার্ষিক বাজেট প্রায় ১০ বিলিয়ন শেকেল (প্রায় ২.৭৩ বিলিয়ন ডলার)। এতে আনুমানিক ৭০০০ কর্মী কাজ করে। যা একে বিশ্বের বৃহত্তম গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটিতে পরিণত করেছে। সংস্থাটি বহু আলোচিত ও বিতর্কিত গোপন হত্যাকাণ্ড ও অপারেশনে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ (আমান), অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা (শিন বেত) এবং রাজনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। ১৯৫১ সালে এটি পুনর্গঠিত হয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে চলে যায়। মোসাদকে ইসরাইলি সাংবাদিক রোনেন বার্গম্যান বর্ণনা করেছেন একটি ‘ডীপ স্টেট’ হিসেবে। কারণ এটি পার্লামেন্ট তথা নেসেটের প্রতি নয়, বরং কেবল প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দায়বদ্ধ। ১৯৯০-এর দশকে আলিজা ম্যাগেন-হালেভি মোসাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত নারী উপ-পরিচালক ছিলেন। ২০১৬ সালে ইসরাইলের ৬৮তম স্বাধীনতা দিবসে মোসাদ প্রথমবারের মতো একটি গোপন ধাঁচের সাইবার রিক্রুটমেন্ট বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এতে গাণিতিক ও সাংকেতিক ধাঁধার মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানো হয়। তাতে অংশ নেয় ২৫০০০ মানুষ। উত্তীর্ণ হন মাত্র কয়েক ডজন। ২০১২ সালের একটি বিরল সাক্ষাৎকারে মোসাদের সদস্যরা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, পারিবারিক জীবনের সাথে পেশাগত দায়িত্বের সামঞ্জস্য, দলে কাজ করা, আবেগ সম্পন্ন বুদ্ধিমত্তা ও আত্মপ্রকাশ না করার বিষয়ে কথা বলেন। ২০২৪ সালে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সংঘাতে, হিজবুল্লাহ একটি ‘কাদের ১’ ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের একটি মোসাদ ঘাঁটির দিকে ছুড়ে মারে বলে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট আসে।
১৯৬০ সালে মোসাদ জানতে পারে কুখ্যাত নাৎসি নেতা অ্যাডলফ আইখমান আর্জেন্টিনায় অবস্থান করছেন। শিমন বেন আহারনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি মোসাদ দল গোপনে আর্জেন্টিনায় প্রবেশ করে এবং নজরদারির মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে, আইখমান সেখানে রিকার্ডো ক্লেমেন্ট ছদ্মনামে বসবাস করছেন। ১৯৬০ সালের ১১ মে তাকে অপহরণ করে একটি গোপন আস্তানায় নিয়ে যায় তারা। এরপর তাকে গোপনে ইসরাইলে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই ঘটনায় আর্জেন্টিনা তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানায় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে যে, এ ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মূলনীতির পরিপন্থী হবে, যা নিরাপত্তাহীনতা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এটা হবে শান্তি রক্ষার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
তবে একইসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদ স্বীকার করে যে- আইখমানের বিরুদ্ধে যে ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তার যথাযথ বিচার হওয়া উচিত। এই প্রস্তাবনা যেন কোনোভাবেই ওই অপরাধগুলোর প্রতি সহানুভূতি বা প্রশ্রয় দেওয়ার অর্থে বিবেচিত না হয়। মোসাদ পরে জোসেফ মেনগেলে নামক আরেক নাৎসি অপরাধীকে ধরার জন্য দ্বিতীয় একটি অভিযান শুরু করেছিল, তবে পরে সেই অভিযান বাতিল করা হয়।
ইরানে মোসাদের কার্যকলাপ হলো গুপ্তচরবৃত্তি, হত্যা ও পারমাণবিক তথ্য চুরি করা। এই লক্ষ্য নিয়ে তারা ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের (১৯৭৮-৭৯) আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহায়তায় ইরানের সিক্রেট পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সাভাক গঠিত হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়লে মোসাদ ইরানে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা সাভাক সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং বিভিন্ন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইরানি জেনারেল আলি রেজা আসকারি তুরস্ক থেকে নিখোঁজ হন। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, মোসাদই তার পালানোর পেছনে কারণ ছিল। যদিও ইসরাইলের মুখপাত্র মার্ক রেগেভ এ দাবি অস্বীকার করেন। রিপোর্টে বলা হয়, আসকারি ২০০৩ সাল থেকেই মোসাদের গোপন এজেন্ট ছিলেন এবং তার পরিচয় ফাঁস হওয়ার আগেই তিনি পালিয়ে যান।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা ফিগারো দাবি করে, ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের ইমাম আলী সামরিক ঘাঁটিতে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের পেছনে মোসাদ থাকতে পারে। ওই ঘটনায় ১৮ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন জেনারেল হাসান তেহরানি মোগাদ্দাম। তিনি ইরানের দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রধান ছিলেন। এই ঘাঁটিতে শাহাব-৩ সহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র মজুত ছিল বলে মনে করা হয়। মোসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী-মাসউদ আলিমোহাম্মাদি, আর্দেশির হোসেইনপুর, মাজিদ শাহরিয়ারি, দারিউশ রেজায়িনেজাদ এবং মোস্তফা আহমাদি-রোশনকে হত্যা করেছে। মোসাদের সাবেক প্রধান মেইর দাগান এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার না করলেও, এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, এই ‘গুরুত্বপূর্ণ মস্তিষ্কদের’ সরিয়ে দেওয়া ইরানের বিজ্ঞানীদের ভয় পাইয়ে দিয়েছে এবং অনেকেই পারমাণবিক প্রকল্প থেকে সরে এসে বেসামরিক কাজে যোগ দিয়েছেন।
২০১৮ সালে মোসাদ এজেন্টরা তেহরানে অবস্থিত ইরানের গোপন পারমাণবিক আর্কাইভে হানা দেয় এবং সেখান থেকে ১ লাখের বেশি নথি ও কম্পিউটার ফাইল চুরি করে ইসরাইলে নিয়ে যায়। এসব নথিতে ‘আমাদ প্রকল্প’ নামে একটি গোপন পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির প্রমাণ পাওয়া যায়। ইসরাইল পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে এসব তথ্য শেয়ার করে।
সর্বশেষ খবর হলো, শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এর আগে শুক্রবার তারা ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যা করে। মাত্র একটি অভিযানে এতগুলো শীর্ষ কর্মকর্তার মৃত্যু নিশ্চয় ইরানকে সামরিক দিক দিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে। এভাবে একটি দেশের প্রতিরক্ষা খাতকে ধ্বংস করে দিলে তার আর বাকি থাকে কি? দৃশ্যত সেখানকার নেতাদের মধ্যে শুধু কথার জোরই এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান। যখন প্রতিবেশী দেশকে কোনো কারণ ছাড়া এভাবে হামলা চালিয়ে শেষ করে দেয়া হচ্ছে, তখন চারপাশের মুসলিম দেশগুলো যেন ফুটবল মাঠের দর্শক!
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |