| ০৮ জুন ২০২৫

ভারতের পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের ৩ উপজেলার নিম্নাঞ্চল

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 31-05-2025 ইং
  • 7277 বার পঠিত
ভারতের পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের ৩ উপজেলার নিম্নাঞ্চল
ছবির ক্যাপশন: ভারতের পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের ৩ উপজেলার নিম্নাঞ্চল

ভারতের পাহাড়ি ঢল ও দুদিনের ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগরীসহ জেলার তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ দিকে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ শনিবার বিকেলে সাড়ে ৫টায় গোয়াইনঘাট থেকে ফেরার পথে আমার দেশকে জানান, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। শুকনা খাবার, চালসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোববার গু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে। এখনো কোনো উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়ক (সামারছিবল) সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মূল সড়ক যোগাযোগ সচল আছে।

এদিকে শনিবার সকালে গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের অংশবিশেষ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, সুরমা, কুশিয়ারাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সারি-গোয়াইন ও ধলাই নদের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটাই সতর্কবার্তা। ভারতে বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢল সীমান্তের নদ-নদী দিয়ে সিলেটে আসে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলে দ্রুত পানি বাড়ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, গতকালের চেয়ে আজ পানি কিছুটা কমেছে। নিম্নাঞ্চলে পানি থাকলেও কোনো গ্রাম বা এলাকা প্লাবিত হয়নি। উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো কারও আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১ মিলিমিটার এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি এখনো অব্যাহত।

এদিকে আকস্মিক অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জরুরি যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে বলে এক অফিস আদেশে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের সচিব আশিক নূর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ