| ০৭ জুন ২০২৫

‘কাতারের ‘উপহার’ নিয়ে এত আগ্রহ কেন ট্রাম্পের’

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 16-05-2025 ইং
  • 24522 বার পঠিত
‘কাতারের ‘উপহার’ নিয়ে এত আগ্রহ কেন ট্রাম্পের’
ছবির ক্যাপশন: ‘কাতারের ‘উপহার’ নিয়ে এত আগ্রহ কেন ট্রাম্পের’

ডেস্ক নিউজ: 

কাতারের রাজপরিবারের কাছ থেকে প্রস্তাবিত উপহারটি যেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আকাশে ভাসমান’ একটি রাজপ্রাসাদ। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজটি ট্রাম্প প্রশাসন গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, এটি কাতারের পক্ষ থেকে একটি দারুণ সদিচ্ছা। আমি এর জন্য খুবই কৃতজ্ঞ। আমি কখনোই এই ধরনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার মতো মানুষ নই।’ এমন মন্তব্যের পরপরই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে।

কী আছে বিমানের ভেতরে

বিমানটিতে রয়েছে মাস্টার বেডরুম, অতিথি কক্ষ, দুটি সম্পূর্ণ বাথরুম (শাওয়ারসহ), ৯টি ছোট টয়লেট, পাঁচটি ছোট রান্নাঘর এবং একটি ব্যক্তিগত অফিস। পুরোপুরি সুসজ্জিত এই উড়োজাহাজটি মূলত কাতারের রাজপরিবার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতো।

১০ বছরের পুরোনো হলেও, কাতার সরকারের এই উপহারকে কোনোভাবে পুরোনো বা বাতিল কিছু ভাবার সুযোগ নেই। এটি একটি উড়ন্ত প্রাসাদের মতো।

শিগগিরই এয়ার ফোর্স ওয়ানে পরিণত হতে যাওয়া এই বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমানে রয়েছে বিশাল সোফা ও রিক্লাইনার, কাঠের প্যানেলিং এবং ৪০টিরও বেশি টেলিভিশন—যার মধ্যে ১০টি বড় স্ক্রিনের।

এই উড়োজাহাজে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু সদস্য আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারেন। সাধারণ যাত্রীবাহী ৭৪৭ এ যেখানে ৪৬০ জন পর্যন্ত যাত্রী বসতে পারে, সেখানে এই বিমানে স্ট্যান্ডার্ড বিজনেস ক্লাস আসন রয়েছে মাত্র পাঁচ সারি।

বাকি জায়গাজুড়ে রয়েছে পাঁচটি লাউঞ্জ, যা দুই ডেকজুড়ে ছড়ানো। দুই ডেকের মাঝে সংযোগ রয়েছে বিলাসবহুল সিঁড়ি দিয়ে। এর সঙ্গে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সুযোগ-সুবিধা—লাইভ টিভি ও রেডিও, ১৩টি ব্লু-রে প্লেয়ার এবং ইন্টারনেট সংযোগ।

‘ক্যাবিনেট’-এর ডিজাইনে তৈরি এই বিমানের প্রতিটি কক্ষেই রয়েছে নরম কার্পেট, চামড়ার সোফা ও সোনালি ফিনিশিং। কনফারেন্স রুমে রয়েছে আরামদায়ক ট্যান ও ক্রিম রঙের চেয়ার, যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করা যায়। বিমানের করিডোরজুড়ে রয়েছে প্রতিফলিত সোনালি রঙের দেয়াল, যা অনেকটা নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারের সজ্জার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

বিমানটি হস্তান্তরের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এটিকে প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবহারের জন্য ব্যাপকভাবে রূপান্তর করবে। এই কাজের দায়িত্ব পেয়েছে প্রতিরক্ষা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এল-থ্রি হ্যারিস, যারা নিরাপত্তা ও যোগাযোগব্যবস্থা সংযোজন করবে।

বোয়িং-এর নতুন প্রেসিডেন্সিয়াল প্লেন তৈরি বিলম্বিত হওয়ায়, ট্রাম্প সাময়িকভাবে এই কাতারি বোয়িং ৭৪৭-৮ ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। নতুন বোয়িং তৈরি হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে, কিন্তু এখন তা পিছিয়ে ২০২৭ পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ জন্যই কাতারি বোয়িংকে নিজের ব্যবহারের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন দিনের মধ্যেপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক সফরের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর এটি। সফরের প্রথম পর্যায়ে তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ