| ০৭ জুন ২০২৫

এমআরটি লাইন-১: ইউটিলিটি নর্দা থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে স্থানান্তর

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 16-05-2025 ইং
  • 24286 বার পঠিত
এমআরটি লাইন-১: ইউটিলিটি নর্দা থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে স্থানান্তর
ছবির ক্যাপশন: এমআরটি লাইন-১: ইউটিলিটি নর্দা থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে স্থানান্তর

ডেস্ক নিউজ: 

দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল-ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১-এর ইউটিলিটি লাইন নর্দা থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা।

তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-১-এর চুক্তি প্যাকেজ (সিপি) ৫ ও ৬-এর অধীনে নর্দা থেকে বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, সরকার অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় যানজট কমানোর লক্ষ্যে এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করছে।

প্রকল্প অনুসারে, কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর যানজট এড়াতে কর্তৃপক্ষ নর্দা থেকে নতুন বাজার স্টেশন হয়ে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কাজ রাতদিন চলমান রাখবে।

এমআরটি লাইন-১ দুটি অংশে নির্মিত হচ্ছে। একটি বিমানবন্দর রুটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে ১৯.৮৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে। এতে ১২টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকছে।

অপরটি পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত মাটির ওপর দিয়ে ১১.৩৬৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে। এতে সাতটি এলিভেটেড ও দুটি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকছে। উভয় রুটের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। মোট ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্যাকেজভিত্তিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি

সিপি-১-এর অধীনে ২০২৩ সালের ১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ৩৫.৯০ হেক্টর জমিতে এমআরটি লাইন-১ ডিপো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। এটি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বাস্তবিক অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে।

প্রকল্পের বিবরণে বলা হয়েছে, প্যাকেজগুলোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সিপি-২ ও সিপি-৫ এর খসড়া চুক্তির নথি অনুমোদনের জন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর কাছে পাঠিয়েছে। সিপি-২ এর প্রাক-চুক্তি আলোচনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ডিএমটিসিএল সদর দপ্তরে পাঠানো হয়।

গত ২৫ মার্চ সিপি-৩ এর দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। আগে যোগ্যতা অর্জনকারী যারা দরপত্র জমা দেয়নি, তাদের জন্য পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়া চলছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সিপি-৪ এর দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করা হয়। আর্থিক প্রস্তাবের মূল্যায়ন বর্তমানে চলমান রয়েছে।

সিপি-৫ এর প্রাক-চুক্তি আলোচনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। খসড়া চুক্তির নথিটি গত ১৩ মার্চ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) -এর কাছে অনাপত্তির জন্য পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া সিপি-৫ এর চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ক্রয় প্রস্তাব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।

সিপি-৬ এর দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাইকা থেকে গৃহীত হয়। বর্তমানে প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে প্রাক-চুক্তি আলোচনা চলছে।

সিপি-৭ এর দরপত্রের নথিপত্র গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উন্মুক্ত কর হয়। দরপত্রের কারিগরি প্রস্তাবের মূল্যায়ন চলছে। অন্যদিকে সিপি-৮ এর দরপত্রের নথিপত্র ১৭ এপ্রিল উন্মুক্ত করা হয় এবং দরপত্রের কারিগরি প্রস্তাবের মূল্যায়ন চলছে।

সিপি-৯ এর দরপত্রের নথি ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্রের কারিগরি প্রস্তাবের মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত ২ মার্চ সম্মতির জন্য জাইকাতে পাঠানো হয়েছে।

সিপি-১০ এর দরপত্র ৯ ডিসেম্বর উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্রের কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত ১৯ মার্চ সম্মতির জন্য জাইকাতে পাঠানো হয়েছে।

সিপি-১১ এর দরপত্র ৯ জানুয়ারি আহ্বান করা হয়। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ১৭ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিপি-১২ এর দরপত্র গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, আহ্বান করা হয়। আগামী ২১ জুলাই দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মোট ৫৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়ন করছে। এতে জাইকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার ১৪ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই মেট্রোরেলে প্রতিদিন ১৩. ৬৬ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন, যা বিদ্যমান এমআরটি লাইন-৬ এর চেয়ে প্রায় ২.৮৩ গুণ বেশি।

তারা বলেন, সরকার যানজট কমাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক তৈরির মেগা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

ছয়টি লাইনের পরিকল্পিত নেটওয়ার্ক বাস্তবে রূপ নিলে ৫০ লাখ মানুষ এই সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারবে। এ লাইনগুলো শহরের ১২৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এর মধ্যে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার এলিভেটেড এবং প্রায় ৬১ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ। এতে শতাধিক স্টেশন থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ