| ০৭ জুন ২০২৫

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ১৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : 16-05-2025 ইং
  • 24952 বার পঠিত
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ১৬ শতাংশ
ছবির ক্যাপশন: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ১৬ শতাংশ

চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে; আর ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৬১ শতাংশের মত।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক সম্পর্কিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে, চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৯৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর আগের বছর একই সময় আমানত ছিল ৩৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।

অর্থাৎ এক বছরে আমানত বেড়েছে প্রায় ৬ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।

কোনো ব্যাংকের শাখা নেই, এমন এলাকায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিধিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এরপর ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি এক সার্কুলারে গ্রামের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বর্তমানে ৩১টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে দুটি সরকারি, ২১টি বেসরকারি এবং আটটি ইসলামি ধারার ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহে চলতি বছরের মার্চ শেষে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। তাদের আমানতের পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা (৪০ দশমিক ৯৬ শতাংশ)।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে তাদের আমানতের পরিমাণ ৫ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা (১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ)।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক এশিয়া সংগ্রহ করেছে ৫ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা, যা মোট আমানতের ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণও বেড়েছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৬ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা।

সে হিসাবে এক বছরে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১০ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা।

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ১৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৬৮ দশমিক ৫৫ শতাংশই ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি।

এরপর আছে সিটি ব্যাংক। তাদের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা (১১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।

ব্যাংক এশিয়া বিতরণ করেছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তাদের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা।

এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার আওতায় স্বল্প পরিমাণ টাকা নিজ হিসাবে জমা দেওয়া ও তোলা যায়। সংগ্রহ করা যায় রেমিট্যান্সও।

তবে এজেন্ট কোনো চেক বইও কিংবা কার্ড ইস্যু করতে পারে না। এজেন্টদের কাছ থেকে কোনো চেকও ভাঙানো যায় না।

এজেন্টরা মোট লেনদেনের ওপর কমিশন পেয়ে থাকেন। এজেন্ট হতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা থাকতে হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি নিয়ন্ত্রিত ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান, সমবায় আইন-২০০১ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত সমবায় প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর, কোম্পানি আইন- ১৯৯৪ এর আওতায় নিবন্ধিত যে কোনো কোম্পানি, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর এজেন্ট, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র, পল্লী ও শহরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকিং করতে পারবে।

এছাড়া তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক সেবা পরিচালনা করতে পারেন এমন শিক্ষিত ব্যক্তিও এজেন্ট হতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ