ডেস্ক নিউজ:
সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে গণফোরাম।
শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের আগে এক ব্রিফিংয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, "গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা কামাল হোসেন সংবিধানপ্রণেতা বলে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না, তা কিন্তু না।
“আমাদের নেতা কামাল হোসেন বলেছেন, জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে; জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংবিধানে যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।”
শনিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ সংলাপ শুরু হয়। তাতে অংশগ্রহণ করেন গণফোরামের ১১ নেতা।
ব্রিফিংয়ে ১৯৯১ সালের তিন জোটের রূপরেখা নিয়েও কথা বলেন মিজানুর রহমান। ওই রূপরেখা বাস্তবায়ন না হওয়াটা রাজনৈতিক ব্যর্থতা বলে মনে করেন তিনি।
“ক্ষমতায় যারাই গিয়েছি, সেই শহীদদের আত্মত্যাগ, তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারিনি। এটা রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা ছিল। যে কারণে চব্বিশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।"
তিনি বলেন, "আমরা সংবিধানে বলছি, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। কিন্তু পাঁচ বছর পর যখন আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাই, আমরা জনগণকে তো সেখানে মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। একথা আমরা সব সময় বলে এসেছি।”
গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি মন্তব্য করে মিজানুর রহমান বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক যে ৭১ সালে এত মানুষের রক্ত দিয়ে একটি রাষ্ট্র নির্মাণের পরে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। সেজন্য মানুষকে আবার লড়াই করতে হয়েছে।"
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণফোরাম দলগতভাবে অংশ নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, "আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং একটি স্বৈরশাসকের উৎখাতের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রে যে-রকম ৯০ এর আন্দোলন করেছিলাম, এই জুলাইয়ে তার চেয়ে ব্যাপকভাবে এই দেশে গণমানুষ রাজপথে নেমে আসে। যে কারণে শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত শুধু হয় না, রাষ্ট্র থেকে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
"মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলো, যে আকাঙ্ক্ষাগুলো আমাদের ছিল, সেটা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা ৭১ এবং ২৪ এর জুলাইকে যেন মুখোমুখি দাঁড় না করাই, সেদিকে খেয়াল রাখার দরকার আছে। এগুলো নিয়ে অনেক প্রশ্ন বাইরে হচ্ছে বলে এ ব্যাপারে আমাদের আরও সজাগ থেকে কাজ করতে হবে।"
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |