| ০৭ জুন ২০২৫

দেশে প্রথমবার ‘জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা

  • আপডেট টাইম : 08-05-2025 ইং
  • 37470 বার পঠিত
দেশে প্রথমবার ‘জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা
ছবির ক্যাপশন: দেশে প্রথমবার ‘জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ: 

দেশে প্রথমবারের মতো রাজশাহীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে সরকার ‘জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

দেশে প্রথমবারের মতো রাজশাহীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে সরকার ‘জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে গতকাল জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়; যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী কার্যকর হবে।

অভয়ারণ্য দুটি হলো রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিলজোয়ানা মৌজার ১ দশমিক ৬৫ একর জলাভূমি ও গোদাগাড়ী উপজেলার বিলভালা মৌজার ১৫ দশমিক শূন্য ৮ একর জলাভূমি। বিলজোয়ানা ও বিলভালা শীতকালে দেশী ও পরিযায়ী পাখির অন্যতম আশ্রয়স্থল। এসব বিলে কালেম, কোড়া, ডাহুক, গুড়গুড়ি, জলপিপি, জলময়ূরসহ দেশী জলচর পাখির পাশাপাশি বালি হাঁস, পাতি সরালি, বড় সরালি, পিয়াং হাঁস, খুন্তে হাঁস, ভূতি হাঁসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। শতাধিক পাখি ছাড়াও উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস রয়েছে এসব জলাভূমিতে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানবসৃষ্ট চাপে এ জলাভূমির জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। অভয়ারণ্য ঘোষণার ফলে এখন থেকে ওই এলাকাগুলোয় পাখি ও বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত হবে বলে মনে করছে সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী, গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হবে।

জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জানতে চাইলে তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌আমাদের দেশে অনেক আইন রয়েছে যেগুলো জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য করা হয়েছে। অনেক আইন নিয়ে কোনো কাজই হয়নি। আমরা একটা একটা করে কাজ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে দেশে প্রথমবারের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমাদের কাজ হলো এগুলোর ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে সেদিকে মনোযোগ দেয়া। আমরা স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ সম্পর্কিত একটা নির্দেশনাও তৈরি করব।’

সারা দেশে বিশেষ ধরনের গাছ ও বন সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, প্রাচীন বৃক্ষ ও কুঞ্জবন ঘোষণার আবেদন আহ্বান জানিয়েছে বন অধিদপ্তর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ