ডেস্ক নিউজ: 

পাকিস্তানের একাধিক স্থানে ভারতের সামরিক হামলার পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে নড়েচড়ে বসেছে রুপি। গতকাল বুধবার এ ঘটনায় ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় নন-ডেলিভারেবল ফরোয়ার্ড (এনডিএফ) মার্কেটে—খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

রিপোর্টে জানানো হয়, হামলার পরপরই এনডিএফ মার্কেটে রুপির মান পড়ে যায় ৮৪.৪৩২৫-এ, যেখানে বিগত এক মাসে তা ৮৪.৬৪ থেকে ৮৪.৬৮ রেঞ্জে লেনদেন হচ্ছিল।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতেই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অন্তত নয়টি স্থানে হামলা চালায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। এতে অন্তত আটজনের মৃত্যু এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। হতাহতদের মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। তিনি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

জেনারেল শরীফ আরও জানান, হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং এটি এখনো চলমান।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, ভারতীয় হামলার জবাবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী সফলভাবে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল এবং একটি করে রাশিয়ান নির্মিত এসইউ-৩০ ও মিগ-২৯।

পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডন জানিয়েছে, ভারত তার বিমান বাহিনীর তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান এক রাতেই হারিয়েছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'অপারেশন সিঁদুর' নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়। তবে সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাগুলোকে এই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি, বরং লক্ষ্য ছিল 'সন্ত্রাসী অবকাঠামো'।

এই ঘটনার পেছনে ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, গত মাসে ভারতের কাশ্মীর অংশে চালানো একটি প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায়ই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার প্রথম প্রহরে জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান তার প্রতিশোধমূলক অভিযান দিয়ে প্রমাণ করেছে যে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা আপসহীন। ভারতীয় বাহিনীর হামলার তীব্র এবং নিখুঁত জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।