চবিতে সাড়ে ২২ হাজার গ্র্যাজুয়েট নিয়ে হচ্ছে বৃহত্তম সমাবর্তন
ডেস্ক নিউজ:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে ক্যাম্পাসটি। দীর্ঘ আট বছর পর সবুজে ঘেরা এই বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করতে যাচ্ছে পঞ্চম সমাবর্তন, যেখানে অংশ নিচ্ছে ২২ হাজার ৬০০ গ্র্যাজুয়েট।
আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এই গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী হতে একত্রিত হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইউসুফ বলেন, ‘সমাবর্তন হচ্ছে এই ব্যাপারটা আনন্দের। তবে অনেক বছর পর সমাবর্তন হচ্ছে তাই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী একসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করেছে। নিয়মিত সমাবর্তন হলে শিক্ষার্থীরা সময়মতো সমাবর্তন পেতো।’
আরেক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান অর্পা বলেন, ‘আমরা যারা রানিং স্টুডেন্ট আছি তারাও যেন সমাবর্তন পায়, সেটাই আমাদের চাওয়া। আমরা চাই প্রশাসন নিয়মিত সমাবর্তনের আয়োজন অব্যাহত রাখুক।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৩৬ বছর পর নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পা রাখতে যাচ্ছেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিতির পাশাপাশি তাকে ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এ আয়োজনে শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি চেয়ারম্যানসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী জানান, এত বিশাল সংখ্যক গ্র্যাজুয়েটের যাতায়াতের জন্য ১০০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের ১ নম্বর গেট থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত চলবে শাটল বাস সার্ভিস। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্যান্ডেলে গরম বা বৃষ্টি মোকাবিলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কেবল প্যান্ডেলের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পুরো সমাবর্তনের ব্যয় প্রায় ১৩ কোটি টাকা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘এই সমাবর্তন আমাদের জন্য একটি বিরল ঘটনা। প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করতে পারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও সম্মানের বিষয়। সমাবর্তন সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমরা ১৯টি উপ-কমিটি গঠন করেছি। নিরাপত্তার জন্য মূল প্যান্ডেল ইতোমধ্যেই এসএসএফের আওতায় এসেছে।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সবশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। এর আগে ২০০৮, ১৯৯৯ ও ১৯৯৪ সালে সমাবর্তন হয়। এবারের সমাবর্তন শুধুমাত্র একটি রেকর্ড নয়, এটি হবে হাজারো শিক্ষার্থীর অর্জন আর আবেগের এক অনন্য মিলনমেলা। গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখর হবে সবুজে ঘেরা ২৩০০ একরের ক্যাম্পাস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি হয়ে থাকবে এক অবিস্মরণীয় দিন।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |