ডেস্ক নিউজ:
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গোপালগঞ্জ পাবনা যশোর পটুয়াখালি ও সিরাজগঞ্জের ওপর দিয়ে মৃদু আকারের তাপদাহ বয়ে গেলেও রাজধানীসহ সারা দেশে গরমের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসে গরমের দাপট থাকে। চলতি বছরেও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন, আশা করা যায়- সোমবার সকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। সে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, রাজধানীতে গাছপালা কম থাকার কারণে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে গ্রামাঞ্চলে এতো গরম অনুভূত হয় না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রোববার যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৪ এবং কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ০ এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টিতেও ঝরলেও গরমের দাপট যেন কমছেই না। কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। তবে এ অবস্থার মধ্যেই চারদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয় সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
একইভাবে মঙ্গলবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন-রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
১ মে বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অল্প জায়গায় বিপুলসংখ্যক মানুষের বসবাস, গাছপালা-জলাভূমি না থাকায় এবং অতিমাত্রায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে ঢাকায় তীব্র তাপদাহ হচ্ছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, শহরের বেশির ভাগ জায়গা কংক্রিটের স্থাপনা দিয়ে আচ্ছাদিত। এতে অতি উষ্ণতার ঝুঁকি বছর-বছর বাড়ছে। গাছপালা কেটে, জলাভূমি ভরাট করে এবং অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের কারণে ঢাকা শহর তাপীয় দ্বীপে পরিণত হয়েছে।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |