ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ৩ নম্বর সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউতে অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন লাইব্রেরি ও তথ্যকেন্দ্র। স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দীর (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য) ঐতিহাসিক বাড়িতেই লাইব্রেরিটি রয়েছে। হিন্দু পাঠকই বেশি আসতেন এখানে। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনের পর থেকে তাতে ভাটা পড়ে। ফলে লাইব্রেরিটির অবস্থা এখন বেহাল।
লাইব্রেরির কর্মী আবু আজিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এর অবস্থা এখন বেহাল। বইয়ের ধুলা মোছার লোক নেই। বাংলাদেশ থেকে আনা বহু পুরোনো বই এখানে রয়েছে। পরিচর্যার অভাবে সেসব নষ্ট হতে বসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও ঠিকমতো তদারক করা হতো না। তার আমলে শুধু শেখ মুজিবের জীবনীসংক্রান্ত বই দিয়ে ভরা হয় বহু তাক। এখনো খুঁজলে দেখা যাবে মুজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রচুর বই। হাসিনার পতন হলেও ডেপুটি হাইকমিশন পরিচালিত গ্রন্থাগারটির হাল ফেরেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের প্রেস সচিব তারিক চয়ন ঐতিহাসিক এ লাইব্রেরি ভবনের দোতলায় সপরিবারে থাকেন। তার হাতেই সবকিছু তদারকের ভার। তবে এখন পর্যন্ত তিনি উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেননি লাইব্রেরির পরিকাঠামো নিয়ে। আগে বাংলাদেশ থেকে দৈনিক ও সাময়িক পত্রিকা আসত। সেসব আসাও বন্ধ হয়ে গেছে। বলতে গেলে লাইব্রেরির পুরো সিস্টেমই অচল। অথচ এ লাইব্রেরি বাংলাদেশ নিয়ে জানার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু মানুষ আগে এখানে নিয়মিত পড়তে আসতেন। তারা এ অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক শ্রুতি বলেন, আগে এখানে এসে আমি বাংলাদেশ নিয়ে পড়াশোনা করতাম। তাদের জেলাগুলো সম্পর্কে জেনেছিলাম। এখন দেখি শুধু মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বইগুলো নতুন হয়ে আছে। ধুলার জন্য বাকি বইগুলোয় হাত দেওয়া যায় না।
কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন কেবল একটি কূটনৈতিক কার্যালয় নয়, এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও বটে। লাইব্রেরিটি জ্ঞানপিপাসু পাঠক ও গবেষকদের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। লাইব্রেরিটি মূলত বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলি সম্পর্কে তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যা দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে। কিন্তু লাইব্রেরির অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদশ সম্পর্কে জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কলকাতার পাঠকরা।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |