ইরান-ইসরাইল সংঘাত তীব্র হতে থাকার মধ্যেই দানা বাঁধছে একের পর এক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। ইসলামসহ তিন ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র আল-আকসায় মিসাইল ছুঁড়ে ইরানের ওপর দায় চাপাবে ইসরাইল, শোনা যাচ্ছে এমন পরিকল্পনাও। ভাইরাল হয়েছে কট্টর ইহুদি এক ধর্মযাজকের এমন মন্তব্য।
গাজা, লেবানন, ইরান। ইহুদিবাদী এজেন্ডার পরবর্তী লক্ষ্য কী? মধ্যপ্রাচ্যে উত্তাপ বাড়তে থাকার মধ্যেই শঙ্কা বাড়ছে, যেকোনো সময় হামলা হতে পারে আল আকসা মসজিদে। মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি- তিন ধর্মের মানুষের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতে হামলা চালিয়ে সে দায় ইরানের ওপর চাপাতে পারে ইসরাইল।
ইসলাম ধর্মে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা। ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে আল আকসার দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার। আর ইসরাইলে ইরানের সাম্প্রতিক হামলার শিকার বন্দরনগরী হাইফা ও তামরার দূরত্ব আল আকসা থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। কিলোমিটারের হিসাবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেকটা দূরে হলেও ক্ষেপণাস্ত্রের আয়ত্তের প্রশ্নে অস্বস্তিকর রকমের কাছে এলাকাগুলোর অবস্থান।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটিকে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক গবেষক জাহিদা তুবা কোর বলেন, ইরানে নিযুক্ত ইসরাইলি গুপ্তচরদের মাধ্যমে ১৩শ' বছরের পুরোনো আল আকসা মসজিদে ব্যালিস্টিক হামলা অসম্ভব নয়। আর তারপর দোষ চাপবে ইরানের কাঁধে।
বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ধর্মবিশ্বাসকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কট্টর ইহুদিবাদীরা। তাই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মতো শোনালেও অযৌক্তিক, একতরফা আগ্রাসনের চর্চা বজায় রেখে আল-আকসায় হামলা চালিয়ে ইরানকে দোষ দেয়া ইসরাইলের জন্য অস্বাভাবিক নয়। আল আকসায় ইরানের হামলার ধারণা প্রতিষ্ঠিত করলে একই সাথে চিরশত্রু দেশটির বিরুদ্ধে তিন ধর্মের মানুষকে এবং পুরো অঞ্চলকে খেপিয়ে দিতে পারবে ইসরাইল। আর যুদ্ধের আবহে এ লক্ষ্য পূরণ কঠিনও নয়। অনলাইনে ভাইরাল এক কট্টর ইসরাইলি ধর্মযাজকের বক্তব্যে আরও পোক্ত হয়েছে এ শঙ্কা।
ইসরাইলের কট্টরপন্থি ইহুদি ধর্মযাজক ইউসেফ মিজরাচি বলেন, ‘যদি পুরো বিষয়টা আমার ওপর নির্ভর করতো, আমি আল আকসাকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতাম এবং বলতাম যে আরব আর ইরানি জনতার মধ্যে সংঘাত উসকে দিতে ইরান মিসাইলটি ছুঁড়েছে।’
ইতিহাসবিদরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত লাভ চাইলে এ ধরনের পরিকল্পনার ফল হিতে বিপরীত হবে। আল আকসাকে ঘিরে বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থান বদলের পরিকল্পনা নেই বলে ইসরাইল দাবি করলেও ২০১৯ সাল থেকে মসজিদটিতে পুলিশি প্রহরায় ইহুদি প্রার্থনার অনুমতি দিয়ে রেখেছে দখলদার বাহিনী।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |