প্রশাসনের এক উদ্যোগে পাল্টে গেছে রাজধানীর ব্যস্ততম বসিলা তিন রাস্তার মোড়ের চিত্র। রাস্তার যেকোনো দিকে মোড় নিতে ঘুরে আসতে হবে ইউটার্ন নিয়ে। ফলে সিগনালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না দীর্ঘ সময়। শুধু বসিলা নয় কৌশলটি ব্যবহার করা হচ্ছে জিরো পয়েন্ট, মানিক মিয়া এভিনিউসহ আরও বেশ কয়েকটি পয়েন্টে। পাশাপাশি ট্রাফিক সহকারী নিয়োগ ঢাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা।
নতুন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দাঁড়াতে হচ্ছে না কোনো সিগনালে। রাস্তার যেকোনো দিকে মোড় নিতে ঘুরে আসতে হবে ইউটার্ন নিয়ে। ফলে সিগনালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না দীর্ঘ সময়।
একজন বাসচালক বলেন, ‘আগে আমাদের এই মোড় পার হয়ে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে এক ঘণ্টা লাগতো। আর এখন ১০ থেকে ১৫ মিনিটে যেতে পারি।’
বাইকারদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এর আগে বসিলা থেকে তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত আসতে এক ঘণ্টার উপরে সময় লেগে যেত মাঝে মাঝে। কিন্তু এখন আমরা মোটামুটি সহজেই আসতে পারি।’
একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে মানিক মিয়া এভিনিউ, ধানমন্ডি ২৭, জিরো পয়েন্টসহ রাজধানীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। তবে এই সফলতাকে স্থায়ী করতে সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতা চায় ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে একজন বলেন, ‘১৫ থেকে ২০ ফুটের মতো রাস্তায় পিচ ঢালাই আছে কিন্তু বাকি রাস্তায় পিচ ঢালাই নেই। এখানে বৃষ্টি হলেই অনেক কাঁদা হয়। তখন গাড়িগুলো ঠিকমতো যেতে পারে না। ছোট গাড়িগুলো কাঁদার মধ্যে দেবে যায়। যার কারণে গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। এটা যতদ্রুত মেরামত করা যায় এটার সফলতা ততদ্রুত পাওয়া যাবে।’
উত্তর সিটি করপোরেশন বলছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অবাধে যান চলাচল নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা, যা বাস্তবায়ন হবে ঈদের পরেই।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘বসিলার ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা প্রাথমিকভাবে একটা ভালো ফলাফল পাচ্ছিলাম। এখন এটা সাসটেইন করলে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে বেসিক রিপেয়ার করা। সেটা আমরা করে ফেলবো।’
ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আরেকটি ইতিবাচক দিক ট্রাফিক সহকারী নিয়োগ। গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকার তীব্র যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তায় শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন এই চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সরকার আমাদের যেটা সম্মানি হিসেবে দেয় সেটা দিয়ে আমরা ভালোভাবে চলতে পারছি।’
গেল ৫০ বছরেও সুরহা না হওয়া ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলের ইতিবাচক উদ্যোগ আশার আলো দেখাচ্ছে নগরবাসীকে।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |