| ২৫ জুন ২০২৫


একদিনে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 14-06-2025 ইং
  • 12312 বার পঠিত
একদিনে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ
ছবির ক্যাপশন: একদিনে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ

তেলের বাজারে ফের বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার ঘটনায় শুক্রবার (১৩ জুন) একদিনেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম লাফিয়ে ৭ শতাংশ বেড়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা জোরদার হয়েছে। খবর রয়টার্স

শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৭৪.২৩ ডলারে লেনদেন শেষ করে, যা আগের দিনের তুলনায় ৪.৮৭ ডলার বা ৭.০২ শতাংশ বেশি। দিনের এক পর্যায়ে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮.৫০ ডলারে, যা জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) প্রতি ব্যারেল ৭২.৯৮ ডলারে পৌঁছে, যা ৪.৯৪ ডলার বা ৭.৬২ শতাংশ বেড়েছে। ইন্ট্রাডে পর্যায়ে এটি সর্বোচ্চ ৭৭.৬২ ডলার ছুঁয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ও সামরিক কমান্ডারদের লক্ষ্য করে ‘দীর্ঘমেয়াদি সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে।

এরই মধ্যে ইরান পাল্টা জবাব দিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার পরপরই ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র তেলআবিবে একাধিক ভবনে আঘাত হানে। দক্ষিণ ইসরায়েলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্বের মোট তেল ব্যবহার্যের এক-পঞ্চমাংশ প্রায় ১৮-১৯ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন এই প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করে।

র‍্যাবোব্যাংক জানিয়েছে, ‘সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক ও ইরান চারটি দেশই একটি ছোট পথ দিয়ে তেল রপ্তানি করে, যা এখন বিপদের মুখে ‘

বর্তমানে ইরান প্রতিদিন প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে এবং ২ মিলিয়ন ব্যারেল রপ্তানি করে, যার বেশিরভাগ যায় চীনে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে, তাহলে তাদের নিজেদেরই বড় ক্ষতি হবে। কারণ, তাদের অর্থনীতি পুরোপুরি সাগরপথে তেল রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল।

সোসিয়েতে জেনারেলের বিশ্লেষক বেন হফ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ইরানের মূল জ্বালানি স্থাপনায় আঘাত হানেনি। তবে ভবিষ্যতে জ্বালানির ওপর হামলা হলে পাল্টা ‘জ্বালানি-কেন্দ্রিক’ আক্রমণের শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তেলবাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য বাজারেও। শেয়ারবাজারে বড় পতন দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়িয়ে ছুটছেন সোনার মতো নিরাপদ সম্পদের দিকে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে তেল ও গ্যাস রিগের সংখ্যা টানা সপ্তম সপ্তাহে কমেছে। বর্তমানে তেল রিগ ৪৩৯টি, যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ যদি জ্বালানি অবকাঠামোর দিকে আরও সরাসরি গড়ায়, তাহলে তেলের দাম আরও লাফিয়ে বাড়তে পারে। একারণে বিশ্ববাজারে মন্দা ও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কাও বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ