| ২২ জুন ২০২৫


এক সপ্তাহে ১৩ লাখ টাকা গণচাঁদা সংগ্রহ এনসিপির

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 12-06-2025 ইং
  • 10286 বার পঠিত
এক সপ্তাহে ১৩ লাখ টাকা গণচাঁদা সংগ্রহ এনসিপির
ছবির ক্যাপশন: এক সপ্তাহে ১৩ লাখ টাকা গণচাঁদা সংগ্রহ এনসিপির

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হয়েছে তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি আত্মপ্রকাশ করেছে সাড়ে তিন মাসও হয়নি। এর মধ্যে নতুন ধারা তৈরি করতে যেসব কর্মকৌশল, কর্মসূচি ও কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে গণচাঁদা সংগ্রহ বা ক্রাউড ফান্ডিং অন্যতম। ‘আপনার অনুদান, আগামীর বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে দলটির স্থায়ী অর্থনৈতিক স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলার এই যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ হলো। এ সময়ে ১৩ লাখ ৮১ হাজার টাকার বেশি গণচাঁদা সংগ্রহ হয়েছে।

গত ৪ জুন এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়। গতকাল বুধবার পর্যন্ত তিন হাজার ২৬৫ জন দাতা ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৮১০ টাকা গণচাঁদা দিয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (কোষাধ্যক্ষ) এসএম সাইফ মোস্তাফিজ। ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে সাইফ জানান, এনসিপির ওয়েবসাইটে সাত লাখ ৬৬ হাজার টাকা, সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে চার লাখ ৯৮ হাজার ২১৪ টাকা এবং ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৯৬ টাকা ৪১ পয়সা এসেছে।

এসএম সাইফ মোস্তাফিজ বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাংকসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তিন হাজার ২৬৫ জন ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৮১০ টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ক্রাউড ফান্ডিংয়ে অনুদান দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। খুব শিগগিরই নিবন্ধন এবং কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আপনারাও আমাদের ওয়েবসাইটে কন্ট্রিবিউট করতে পারবেন।

এনসিপির ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, কার্যক্রম উদ্বোধনের দিন থেকে গত আটদিনের গণচাঁদার তথ্য শোভা পাচ্ছে। সেখানে তিন হাজার ৩৪৪ জন দাতার আট লাখ ৯ হাজার ১৯১ টাকা দেওয়ার তথ্য দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া এ কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত গণচাঁদা প্রদানের হার বেশি এবং ঈদের পর কম দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল ৫ জুন, প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। আর সর্বনিম্ন ৯ জুন, প্রায় ২০ হাজার টাকা।

ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৬৪ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ গণচাঁদা এসেছে ঢাকা জেলা থেকে, প্রায় তিন লাখ। অন্যদিকে সর্বনিম্ন গণচাঁদা দেওয়া হয়েছে মেহেরপুর থেকে ৪০০ টাকা। এ ছাড়া ৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি দিয়েছেন সাড়ে ২২ হাজার টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ