বহুল আকাঙ্খিত সিঙ্গাপুর ম্যাচে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স প্রদর্শণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। যে আগ্রহ ও উদ্দীপনা নিয়ে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন হাজারো দর্শক, সেই প্রত্যাশা পুরণ হয়নি। হতাশ করলেন ফুটবলাররা। সিঙ্গাপুরের কাছে হারের পর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই স্প্যানিশ কোচ বললেন, ‘যে ফল হয়েছে, সেটি আমরা আশা করিনি। এটা আমরা চাইনি। আমি মনে করি, ম্যাচটি আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবেই শুরু করেছিলাম। ১৫-২০ মিনিটে কিছু ভুল, প্রত্যাশার চাপ, শক্তি খরচ করেছি। এরপর আমরা শক্তি হারিয়ে ফেলি। আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ তারা ভালো দল। বলের প্রতি মনোযোগি ছিল তাদের। সে জায়গায় আমরা সংগ্রাম করেছি। হাফ টাইমের আগে আমরা যে গোলটি হজম করেছি, সেটি সহজেই এড়িয়ে যেতে পারতাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। সাহসিকতার সঙ্গে সব দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল দল। আমরা সুযোগ তৈরি করেছিলাম। আমি মনে করি, অন্তত এক পয়েন্ট প্রাপ্য ছিল আমাদের।’ কাবরেরা মনে করেন চাপের কারণেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তার মতে, যে ধরনের বিল্ড-আপ ফুটবল খেলে সিঙ্গাপুর, সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এটি সব সময় পারা যায়নি। ড্রয়ের খুব কাছে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সময়ের সুযোগগুলো মিস হওয়ার আফসোস করেন বাংলাদেশ কোচ। কাবরেরা বলেন, ‘শেষ সুযোগগুলোর কোনটিই আমরা গোলে রুপ দিতে পারিনি।’ বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রাকিব। বেশির ভাগ ম্যাচে তাকে রাইট উইংয়ে খেলতে দেখা যায়। কিন্তু কাবরেরা তাকে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলান। এই কোচের যুক্তি, ‘আমার কাছে তাকে সেরা স্ট্রাইকার মনে হয়েছে। এ কারণে তাকে সেখানে খেলিয়েছি। শুধু এই কারণেই নয়, আমার কাছে মনে হয়েছে, সে বক্সের মধ্যে সেরা।’ হতাশ হয়ে দর্শকরা বাড়ি ফিরলেও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে পারফরম্যান্সে ইতিবাচক কোচ কাবরেরা। তার দাবি সিঙ্গাপুরের চেয়ে ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হলে সঠিক ফল হতো। কোচ মনে করেন, বেশি প্রত্যাশা থাকায় দর্শকরা হতাশ হয়েছে। তবে পারফরম্যান্সের বিবেচনায় বাংলাদেশ ভালো করেছে।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হামজা ভালো করেছেন বলে জানান কাবরেরা। তিনি বলেন, ‘মধ্যভাগে সে নেতৃত্ব দিয়েছে। সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।’ সিঙ্গাপুরের বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কাবরেরার কাছে এটি পরিস্কার পেনাল্টি মনে হয়েছে। তবে দূর থেকে বুঝতে পারেননি। যদি পেনাল্টিটি পাওয়া যেতো তাহলে খুশির বিষয় ছিল।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |