ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ব্যস্ত সময় পার করেন কামাররা। ভোর থেকে দা-বটি, ছুরি আর চাপাতি বানানোর কাজ শুরু করেন কামাররা।

তপ্ত লোহায় হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে পেটাতে তাদের এই কর্মযজ্ঞ চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। পাশাপাশি পুরোনো দা-বটিতে শান দেওয়ার কাজ চলে সমানতালে।

চকবাজার এলাকায় তেলিপট্টিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্প্রিং দিয়ে বানানো ভালো মানের দা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বটি ৫০০ থেকে হাজার টাকা, ধামা ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকায় অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। আবার ক্রেতারা চাইলে বানানো দা-বটি-চাপাতি দোকান থেকে কিনতে পারছেন। এগুলোর দাম তুলনামূলক সস্তা। পুরানো যন্ত্রপাতি শান দেওয়ার জন্য ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

দোকানি সুজন কর্মকার জানান, সবকিছু সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিতে হবে। তাই গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। যারা আগে অর্ডার দিয়েছেন তাদের আগে ডেলিভারি দেওয়া হবে। ঈদের সকালেও বেশকিছু ডেলিভারি রয়েছে। কসাইরা মূলত বেশি অর্ডার করে থাকেন।  

মহিউদ্দিন রিফাত নামে এক ক্রেতা বলেন, বিদেশি দা-ছুরিগুলোর চেয়ে কামারদের বানানো যন্ত্রপাতিগুলো   বেশ কাজের। তাই পুরানো দা-বটি শান দিচ্ছি, সঙ্গে নতুন ছুরি-চাপাতিও কিনবো।

এদিকে নগরের মোড়ে মোড়ে খড় আর মাংস কাটার খাটিয়া-চাটাই নিয়ে বসেছেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। তারা থরে-থরে সাজিয়ে রেখেছেন এসব কাঠের খাটিয়া। দোকানিরা জানালেন, তেঁতুল গাছের কাঠের দা-ছুরির আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই এ গাছের খাটিয়ার চাহিদাও বেশি। প্রতি পিস ৩০০-৫০০ টাকায় এসব খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে। শুকনো খড়ের প্রতি আঁটি ১০০ টাকা। চাটাই বিক্রি হচ্ছে সাইজভেদে ২৫০-৬০০ টাকায়।