ইরান, আফগানিস্তান ও হাইতিসহ ১২টি দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ‘বিপজ্জনক বিদেশি অ্যাক্টরদের থেকে যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে রক্ষার’ জন্য তিনি এই নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছেন। এর বাইরে আরও ৭টি দেশ আছে যার নাগরিকদের আংশিক বিধিনিষেধের মুখে পড়তে হবে। এর মধ্যে আছে কিউবা ও ভেনেজুয়েলা। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। যেমন বড় স্পোর্টস ইভেন্টে অ্যাথলেটদের সফর, আফগানিস্তানের কিছু নাগরিক ও দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে এমন দেশের নাগরিক।

রোববার কলোরাডোতে হামলার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা এসব দেশের মানুষকে চাই না। এর আগে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালে তিনি সাতটি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। এবার নতুন করে দেয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ৯ই জুন থেকে। যে ১২টি  দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তা হলো-আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাঁদ, কঙ্গো, বিষুবীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

তবে ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। এর মধ্যে আছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ। তারা একে বৈষম্যমূলক, বর্ণবাদী এবং নিষ্ঠুর আচরণ বলে অভিহিত করেছে।

এক্সে অ্যামনেস্টি লিখেছে, জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে মানুষকে টার্গেট করে দেয়া এই নিষেধাজ্ঞা শুধুই ভুল তথ্য ও ঘৃণা ছড়িয়ে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা হলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী এবং শাস্তিমূলক আরেকটি পদক্ষেপ। সংগঠনটির শরণার্থী 

বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক রবিন বার্নার্ড বিবৃতিতে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শরণার্থীরা, আশ্রয়প্রার্থীরা এবং অন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগণ। এর মধ্যে এমন অনেক আছেন যারা এই দেশের ভেতরেই তার প্রিয়জনের সঙ্গে মিলিত হতে চেষ্টা করছেন।

তিনি আরও বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা আমাদের দেশকে নিরাপদ করতে কিছুই করবে না। এতে শুধু আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে হেয় করবে। যাদের খুব বেশি সুরক্ষা প্রয়োজন তাদেরকে খেয়ালখুশিমতো টার্গেট করা হবে।