ভারী বৃষ্টির কবলে ভারত। বুধবার রাত থেকে উত্তর প্রদেশে বজ্রবৃষ্টিসহ তীব্র ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫৬ জন। আরব সাগরে নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় রাজ্যগুলোয় জারি করা হয়েছে অতিবৃষ্টির সতর্কতা, যা চলতে পারে পুরো সপ্তাহজুড়ে। এদিকে বন্যা ও ভূমিধসে চীনের গুইঝো প্রদেশ ও অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলসে ৪ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দিল্লীর পর এবার বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর প্রদেশ। প্রাকৃতিক দূর্যোগের প্রকোপ থেকে যেন মুক্তিই মিলছে না ভারতবাসীর। আরব সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে কর্নাটক, কেরালা, গোয়া ও গুজরাটে চলছে ভারী বৃষ্টি। দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকায় জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। রেড অ্যালার্টের আওতায় রয়েছে মুম্বাই।
শুক্রবার থেকে তীব্র বৃষ্টির আভাস রয়েছে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সব রাজ্যে। বুধবার (২১ মে) রাত থেকে ভারী বৃষ্টি, তীব্রঝড় ও বজ্রপাতে রাজ্যটিতে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। শিলাবৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের শিকার রাজ্যের ১৮টি জেলা। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে কাশগঞ্জ ও ফতেহপুর জেলায়। গোরাখপুরে এক দিনে রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, পাঞ্জাবের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণি বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ১শ’ কিলোমিটার। এর প্রভাবেই উত্তর প্রদেশে চলছে আবহাওয়া বিপর্যয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আবহাওয়াবিদ সুষমা নায়ার বলেন, ‘দক্ষিণ কোঙ্কান-গোয়া উপকূলে বাতাসের ঘূর্ণি তৈরি হয়েছে। আমাদের পূর্বাভাস বলছে, এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ কারণে আমরা রত্নাগিরিতে অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছি। রায়গড় ও রত্নাগিরিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।’
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে বন্যায় পুরো দেশের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিউ সাউথ ওয়েলস। ওয়ারাগাম্বা বাঁধের ধারণ ক্ষমতার ৯৬ শতাংশে পৌঁছেছে পানি। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বাঁধ। সিডনির ৮০ শতাংশ পানি সরবরাহ এই বাঁধের ওপর নির্ভরশীল। এবারের বন্যাকে ইতিহাসের অন্যতম বিরল ঘটনা বলছে দেশটির পুলিশ।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের সহকারী কমিশনার ডেভিড ওয়াডডেল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণকে সাহস দেয়া প্রধান কাজ। শুধু বলতে চাই, দয়া করে বন্যার পানিতে নামবেন না। কারণ এটি ইতিহাসের অন্যতম বিরল বন্যা। এবারের দুর্যোগ অনেক মর্মান্তিক ঘটনার স্বাক্ষ্য বহন করছে।’
অন্যদিকে, চীনের গুইঝো প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। প্রদেশটি জারি করা হয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |