‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে এর একটি নকশা নির্বাচন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চীন ও রাশিয়ার হুমকি প্রতিহত করার লক্ষ্যে ১৭৫ বিলিয়ন (১৭ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নেতৃত্ব দিতে একজন ‘স্পেস ফোর্স’ জেনারেলও নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসতে চায় প্রতিবেশী দেশ কানাডা। তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির এক বক্তব্য থেকে। কার্নি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘উচ্চ পর্যায়ের’ আলোচনা শুরু করেছে তার দেশ।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে এ প্রকল্প শুরু করার প্রথম আদেশ দেন। লক্ষ্য হলো, শত শত উপগ্রহ নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যা ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত, অনুসরণ ও সম্ভব হলে তা প্রতিহত করতে পারবে। গত মঙ্গলবার (২০ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর নকশা নির্বাচনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
পরদিন বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, 'চাইলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে গোল্ডেন ডোম প্রকল্পে অংশ নিতে পারি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি এবং উচ্চপর্যায়ে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'
গোল্ডেন ডোম তৈরি করা হবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসনিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন থেকে সুরক্ষার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অর্থাৎ আগামী তিন বছরের মধ্যে এটি কার্যকর করতে চান। তবে এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক জটিলতাও রয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডার জন্যও একই ধরনের হুমকি রয়েছে। তার কথায়, ‘ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি রয়েছে, যা খুব দূর ভবিষ্যতে নয়, বরং মহাকাশ থেকেও আসতে পারে— আমরা সে হুমকিগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।'
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকান আকাশ প্রতিরক্ষা চুক্তির (নোরাড) মাধ্যমে দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা অংশীদার হলেও সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা শীতল। এই প্রেক্ষাপটে কানাডা বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বৈচিত্র্যময় করার পথে হাঁটছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আর্কটিক রাডার উন্নয়ন চুক্তি করেছে। কার্নি জানান, তার সরকার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ‘রি-আর্ম ইউরেপ’ নামে ইউরোপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা শিল্প শক্তিশালী করার এক উদ্যোগে পূর্ণ অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |