রাঙামাটিতে পাঁচ দিনের চেষ্টায় শেখ মুজিবুর রহমানের ৩১ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য ভূপাতিত করলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ (মঙ্গলবার, ২০ মে) সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত ভাষ্কর্যটি ভাঙা সম্পন্ন করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
রাঙামাটি থেকে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য অপসারণে জেলা পরিষদকে দুই দফায় দেয়া ৬০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম গেল (শুক্রবার, ১৬ মে) শেষ হওয়ায় ভাস্কর্য ভাঙা শুরু করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাঙামাটির ভেদভেদি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধান সড়কে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সার্ভার স্টেশনের বিপরীতে সামনের অংশে স্থাপিত ভাস্কর্যটির সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। পরে সন্ধ্যায় হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে শুরু হয় ভাঙচুর।
এর আগে গেল বুধবার (১৪ মে) জেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে মূর্তি অপসারণের প্রতিশ্রুতির মুখে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।
গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে এই ভাষ্কর্যটি ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ছাত্র-জনতা। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ভাষ্কর্যটি অপসারণে দাবি তোলা হলেও কাজ হয়নি।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ ২০১২ সালে এই ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কয়েক দফায় চলা এর নির্মাণ কাজে প্রায় সাত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ আছে। একইসাথে এর নির্মাণে নকশাগত ত্রুটি ও অনিয়মের অভিযোগও উঠে।
এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদকে দায়ের হওয়া মামলা চলমান রয়েছে। কাজটি রাজনৈতিক বিবেচনায় জেলা আ.লীগের নেত্রী ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর স্বামী আনোয়ার হোসেন ঠিকাদারি পান। তবে ওই মামলা চলা অবস্থাতেই আন্দোলনের মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার হাতে ভাঙা পড়লো ভাষ্কর্যটি।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |