ইসরাইলের বোমা হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পর সেখানে বোমা হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। রাতভর চলে এমন নারকীয় হামলা। এর পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশেও সম্পূর্ণ অবরোধ জারি রাখা হয়েছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের তিন দেশ বৃটেন, ফ্রান্স ও কানাডা। অবিলম্বে হামলা বন্ধ না করলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। খবর আল জাজিরা ও এএফপি’র। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের নিন্দা জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এক যৌথ বিবৃতিতে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা সম্প্রসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া উপত্যকার পরিস্থিতি ‘অসহনীয়’ বলেও অভিহিত করেছেন পশ্চিমা বিশ্বের ওই তিন নেতা। আর ইসরাইলের হামলা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এর কঠোর প্রতিক্রিয়া দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সোমবার দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর প্রশাসন যখন গাজায় এমন জঘন্য হামলা চালাচ্ছে তখন আমরা চুপ করে বসে থাকব না। যদি ইসরাইল তাদের নতুন সামরিক হামলা বন্ধ না করে ও মানবিক সহায়তার ওপর থেকে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয় তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। যদিও কি পদক্ষেপ নেয়া হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেয়া হয়নি। তবে তারা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান হিসেবে ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে এক যোগে কাজ করবে বৃটেন, ফ্রান্স ও কানাডা।
২২টি দেশের যৌথ দাবির সঙ্গে মিল রেখে বিবৃতি দিয়েছে এই তিন দেশ। যেখানে গাজাবাসীর অনাহারের কথা উল্লেখ করে সেখানে অবিলম্বে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরাইল যে বাধার সৃষ্টি করছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এর মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করছে। এছাড়া গাজাবাসীকে নিয়ে ইসরাইলের পার্লামেন্ট সদস্যরা যে ঘৃণ্য বক্তব্য দিয়েছে তারও নিন্দা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, এমন ধ্বংসযজ্ঞে গাজাবাসী নিজ থেকেই স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হবে। বৃটেন, ফ্রান্স ও কানাডা বলেছে এভাবে মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |