| ০৭ জুন ২০২৫

ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন সংগ্রাম করছে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 17-05-2025 ইং
  • 21831 বার পঠিত
ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন সংগ্রাম করছে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান
ছবির ক্যাপশন: ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন সংগ্রাম করছে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী শুধু ভোট বা নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল নয়। বরং আমরা আর্ত-মানবতার মুক্তি ও সমাজের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত থানা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারী মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ। বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এম পি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চায়। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ঢেলে সাজাতে চাই যাতে রাষ্ট্রই সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে। জামায়াত এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যেখানে মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য বা ভেদাভেদ থাকবে না। কিন্তু অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা একাজ করেনি বরং তারা আত্মস্বার্থ, ব্যক্তিস্বার্থ, শ্রেণি স্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ রক্ষাসহ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করেছে। তাই জামায়াতকে সবসময় স্রোতের বিপরীতে কাজ করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পথচলা অতীতে নির্বিঘ্ন ছিল না; এখনো নয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তদানীন্তন জালিম সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলো। ১৯৭৫ সালে তারা সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিলো। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের কর্মতৎপরতা কখনোই বন্ধ ছিল না। ১৯৭৮ সালে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তা প্রমাণ হয়েছিলো। তবে এজন্য বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। মামলা, হামলা, গণগ্রেফতার, রিমান্ড, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুপ্তহত্যা ছিল আমাদের নিত্যসঙ্গী। এমনকি জুডিশিয়াল কিলিং-এর মাধ্যমে আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। তবে আল্লাহ তা’য়ালার অপার মেহেরবানিতে মুহতারাম এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো জীবিত আছেন। বিপ্লব পরবর্তী অনেক সময় পার হয়ে গেছে। আগামী ২৭ তারিখ তার মামলার রায় রয়েছে। 

তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য সকলকে আল্লাহর তায়ালার সিজদাবনত হওয়ার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ