মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে ২০২৫ সালকে এনফোর্সমেন্ট বর্ষ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। সেই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে বিদেশি নাগরিকদের ‘হটস্পট’-এ বড় আকারে অভিযান জোরদার করতে অভিবাসন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) অভিবাসন বিভাগের এক্সিলেন্স সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড (এপিসি) প্রদানের পর এক সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে কথা বলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল। অনুষ্ঠানে অভিবাসন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবানও উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালকে এনফোর্সমেন্ট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিবাসন মহাপরিচালককে বিদেশি হটস্পটগুলোতে মনোযোগ দিয়ে সমন্বিত ও বড় আকারের অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি।’

এই মন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, যে সকল নিয়োগকর্তা এখনও অবৈধ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ করছেন বা অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দিচ্ছেন, তারা অভিযান পরিচালনার সময় কঠোর আইনের মুখোমুখি হবেন।

কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি তিনি জানান, প্রতি অভিবাসীকে কাজের সুযোগ দেয়ার জন্য নিয়োগকর্তা প্রতি ৫০ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ছয়টি বেত্রাঘাতও হতে পারে।

আইনের শাসন ও জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার অঙ্গীকারের সাথে সঙ্গতি রেখে দেশে অবৈধ বিদেশিদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মন্ত্রণালয় কোনো আপস করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী। 

এই অভিযান রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ (পিডিআরএম), মালয়েশিয়ান ভলান্টিয়ার ডিপার্টমেন্ট, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতো সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি। 

সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে অভিবাসন বিভাগ। চলতি বছর গত ১৩ মে পর্যন্ত ৫ হাজার ১টি অভিযান চালানো হয়েছে এবং ৩৪ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ অভিবাসী এবং ৬৬৯ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে।