ডেস্ক নিউজ: 

প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের জন্য খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। দেশটিতে নতুন কর্মী নিয়োগের খবর বাংলাদেশের শ্রমবাজারে স্বস্তি বয়ে আনবে— এমনটাই মনে করছেন এখানে বসবাসরত প্রবাসীরা। পাশাপাশি চলতি মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সিন্ডিকেট মুক্ত শ্রমবাজার ও অবৈধদের বৈধতা দেয়ার বিষয়ে আলোচনার তাগিদও দিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কুয়ালামপুর সফরের পর প্রবাসীদের বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিপল ভিসা দেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলে জানাচ্ছে কয়েকটি সূত্র।

বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহৎ শ্রমবাজার মালয়েশিয়া । গেল দুই দশকে দেশটিতে শ্রম দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন বহু বাংলাদেশি, অবদান রেখেছেন দেশের অর্থনীতিতেও।

প্রায় এক বছর বন্ধ থাকা জনপ্রিয় এ গন্তব্য আবারও খুলতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

মালয়েশিয়া সফরে এসে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানান, শ্রমবাজার সচল করতে নতুন কর্মী নেবে মালয়েশিয়া, যেখানে অগ্রাধিকার পাবেন বাংলাদেশিরা।

তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি অভিবাসন ফি’র অর্থ গুনতে হয় বাংলাদেশিদের। এর আগে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত অভিবাসন ফি ৪ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

এর পেছনে রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবারের (১৫ মে) বৈঠকে বাংলাদেশে পক্ষ থেকে সব এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে। এতে অভিবাসন ব্যয় অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন প্রবাসীরা।

মালয়েশিয়া আরএমএইচ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস-এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা মালয়েশিয়াতে আছে, তাদের ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেট নেই। যেখানে তারা ১ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচে আসতে পারে, অনেকে ১ লাখের ভেতরেও আসতে পারে। অথচ বাংলাদেশের শ্রমিকদের আসতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করতে হয়।’

এদিকে চলতি মাসের ২০ ও ২১ তারিখ ঢাকায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 

বৈঠকে অনিয়মিতদের বৈধতা দেয়ার প্রসঙ্গে জোর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমারা যারা শ্রমিক ভিসায় আসি, আমাদের দেয়া হয় সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা। আমরা চাই মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কথা বলে যেন আমাদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করে দেয়া হয়।’

এ ছাড়া, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বৈঠকের পর প্রবাসীদের বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিপল ভিসা দেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলে জানা গেছে ।