| ২১ এপ্রিল ২০২৫
ad728

হিজড়া-ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কেন এত বিতর্ক

রিপোর্টারের নামঃ Mohammad Golam Sarwar
  • আপডেট টাইম : 04-02-2024 ইং
  • 13800 বার পঠিত
হিজড়া-ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কেন এত বিতর্ক
ছবির ক্যাপশন: হিজড়া-ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কেন এত বিতর্ক

ট্রান্সওম্যান (রূপান্তরিত নারী) জয়া সিকদার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি পটুয়াখালীর বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় আসতে বাধ্য হন। 

ছোটবেলায় জয়াকে তাঁর বাবা বাইরে নিয়ে যেতে চাইতেন। কিন্তু তাঁর হাঁটাচলা কেন পুরুষালি নয়, তা নিয়ে তাঁকে নানা কথা শুনতে হতো। 

সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে স্কুলে হয়রানি-কটূক্তির শিকার হয়ে জয়ার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। মেয়ের জন্য সমাজে মুখ দেখাতে পারেন না—এ ক্ষোভে বাবা একদিন জয়ার মাকে মারধর করেন। 

জয়া বলেন, সন্তানের কারণে সন্তানের সামনে মাকে বাবার মারধরের পর তো সন্তানের পক্ষে আর বাড়িতে থাকা সম্ভব হয় না। 

কৈশোরে ঢাকায় পা দেওয়ার পর পদে পদে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন হয়রানির সম্মুখীন হন জয়া। এই শহরে জয়া পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় একটি চাকরি চেয়েও পাননি। 

পোশাক কারখানার নিরাপত্তাকর্মী জয়াকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে সারা দিন বসিয়ে রেখেছিলেন। সেই নিরাপত্তাকর্মীই রাতে জয়াকে যৌনপীড়ন করেন। 

একসময় জয়া এক ‘গুরুমায়ের’ আশ্রয়ে থাকতে শুরু করেন। হিজড়া যৌনকর্মীদের সঙ্গে তাঁকেও একই কাজ করতে হয়। জয়ার ভাষ্য, তিনি ক্ষুধার যন্ত্রণায় এই পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। 

জয়ার জীবনে গত শতকের নব্বইয়ের দশকে ঘটে যাওয়া ঘটনা এগুলো। তারপর তিনি কেয়ার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) কাজ করেন। নেতৃত্ব বিকাশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পান তিনি। জয়ার এখনকার পরিচয়—তিনি একজন অধিকারকর্মী। তিনি ট্রান্সজেন্ডার মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন। 

জয়া জানান, তিনি যখন হিজড়া কমিউনিটিতে ছিলেন, তখন নিজেকে ‘হিজড়া’ পরিচয় দিতেন। এ সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিজেকে ট্রান্সওম্যান বা রূপান্তরিত নারী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ইন্টিগসোল