গোপালগঞ্জে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের মিল্টন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কাশিয়ানী থানার ওসি খোন্দকার হাফিজুর রহমান।
নিহতরা হলেন- ট্রাক চালক মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলা সদরের জাহিদুল মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লা (২৫), বাসের হেলপার রাব্বী মোল্লা (১৭) ও বাসের যাত্রী খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিয়াশান্তা গ্রামের নিরাপদ সরকারের ছেলে মানস সরকার (৪১)।
ওসি খোন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, বাগেরহাটের মোংলা থেকে ছেড়ে আসা নিউ বলেশ্বর পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। বাসটি দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের মিল্টন বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“এতে গাড়ি দুটি দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ট্রাক ড্রাইভার শামীম মোল্লা ও বাসযাত্রী মানস সরকার মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২১ জন।”
তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে মারা যান বাসের হেলপার রাব্বী।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের মরদেহ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বাস-ট্রাক সড়কের উপর থাকায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজটে আটকা পড়ে শত-শত যানবাহন।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ বলেন, “বাস-ট্রাকের সংঘর্ষের খবরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ও কাশিয়ানী হাসপাতালে পাঠাই। তাদের মধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক ছিল।
“পরে আড়াই ঘণ্টা পর রাত ১১ টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাস ও ট্রাক অপসারণ করা সম্ভব হয়।”
পরে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |