ডেস্ক নিউজ:
২০১৮ সালে লিওনেল স্ক্যালোনি যখন আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব নেন তখন আর্জেন্টিনার বড্ড দুঃসময়। রাশিয়া বিশ্বকাপে হোর্হে সাম্পাওলির অধীনে ভরাডুবি হয়েছে লিওনেল মেসিদের। রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেই বাদ পড়ে গিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল মেসি তো সে সময় আর্জেন্টিনা জাতীয় দল থেকে বিদায় নেয়ারও কথা ভাবছিলেন। ঠিক এমন সময় আনকোরা স্ক্যালোনিকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। যে সিদ্ধান্তে ভ্রু কুঁচকেছিলেন অনেকেই।
২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন লিওনেল স্ক্যালোনি। সেটিই আবার মেসির প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। ২০১৫ সালে ক্লাব ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার পর কোচিংয়ে নাম লেখান তিনি। এরপর হোর্হে সাম্পাওলির সহকারী হিসেবে সেভিয়ায় দায়িত্ব পালন করে রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সহকারী কোচের ভূমিকায় যান। এরপর ২০১৮ সালেই আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২০ দলের কোচের দায়িত্ব পান।–সাম্পাওলির বিদায়ের পর এতটুকু অভিজ্ঞতা নিয়েই আর্জেন্টিনার ডাগআউটে বসেছিলেন স্ক্যালোনি!
ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে স্ক্যালোনি যখন দায়িত্ব নেন তখন দেশের ফুটবল ফেডারেশনের ওপর বেজায় ক্ষ্যাপা দিয়েগো ম্যারাডোনা। মাত্রই বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে। কই ভালো একজন কোচ খুঁজে বের করবেন, তার বদলে আনকোরা ছোকরা স্ক্যালোনির কাঁধে জাতীয় দলকে চাপিয়ে দেয়ায় শাপশাপান্ত করেন দেশের ফুটবল কর্তাদের।
স্ক্যালোনির নিয়োগ নিয়ে ম্যারাডোনা বলেন, 'আর্জেন্টিনায় সবকিছু খারাপভাবে হয়। আমাদের সিজার লুইস মেনত্তি, টাটা মার্টিনো, ফ্লাকো গারেকা, গুস্তাভো আলফারো, মার্সেলো গ্যালার্দো এবং বারোস স্কেলেত্তোর মতো কোচ থাকার পড়েও আমরা স্ক্যালোনিকে নিলাম। আমরা আর্জেন্টাইনরা দুনিয়ার উল্টোপথে চলছি।'
শুধু তাই নয়, স্ক্যালোনিকে রীতিমতো যা-তা বলে বসেন তিনি, 'আমাদের আর্জেন্টাইনদের আছে লিওনেল স্ক্যালোনির মতো ছোকরা, যাকে অবশ্য এই অবস্থানের জন্য দোষারোপ করা যায় না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সে নিজেকে কোচ ভাবে এবং বিশ্বকাপে যেতে চায়। সে যেতে পারে, কিন্তু সেটা মোটরসাইক্লিং বিশ্বকাপে, ফুটবলেরটায় নয়।'
তবে ম্যারাডোনাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন স্ক্যালোনি। এই ছোকরার হাত ধরেই আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা কেটেছে। বিশ্বকাপ ছাড়াও পরপর দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপাও এনে দিয়েছেন এই কোচ। তবে ম্যারাডোনা স্ক্যালোনি ও আর্জেন্টিনার এই সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। ২০২০ সালেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন এই কিংবদন্তি।
ফজর | ০৪:৫৪-০৬:০৮ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১২:০৯-০৪:২৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ০৪:২৬-০৬:০৬ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ০৬:১০-০৭:২১ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:২২-০৮:৪৯ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৩০ মিনিট দুপুর |