| ০৮ জুন ২০২৫

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে থাইল্যান্ডে পালাল ৬২ জান্তা সেনা

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ:
  • আপডেট টাইম : 25-05-2025 ইং
  • 11834 বার পঠিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে থাইল্যান্ডে পালাল ৬২ জান্তা সেনা
ছবির ক্যাপশন: মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে থাইল্যান্ডে পালাল ৬২ জান্তা সেনা

মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে ৬২ জন জান্তা সেনা থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে এক চেকপয়েন্টে আক্রমণ করার পর এসব সেনা থাইল্যান্ডে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি

শনিবার (২৪ মে) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খাওসোদ ইংলিশের খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) জান্তার কয়েকটি সেনাচৌকিতে আক্রমণ করে। আক্রমণের মুখে সেনারা সীমান্ত দিয়ে থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের ফোপ ফ্রা জেলায় প্রবেশ করে।

থাই সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৬২ জন সেনাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ১১ জন ছিল আহত। থাইল্যান্ডে প্রবেশের পর তাদের সবাইকে নিরস্ত্র করা হয়। জান্তা সেনারা জানিয়েছে, বিদ্রোহী কেএনএলএ তাদের ১৮ জন সহকর্মীকে হত্যা করেছে।

মিয়ানমারের অন্যতম বৃহত্তর বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেএনএলএ ১৯৪৯ সাল থেকে কারেন জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করে আসছে। ২০২১ সালে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর জান্তার বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করে গোষ্ঠীটি।

দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল এনএলডি নির্বাচনে জয়ের পর ক্ষমতায় তাদের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর ঠিক আগে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী।

তারপর থেকেই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির বেসামরিক জনগণ ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত চলছে। সম্প্রতি দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জোট গড়ে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করে। এই লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের কাছে নিজেদের অনেক ঘাঁটি ও নিরাপত্তা চৌকির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।

এদিকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জান্তা সরকার তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সরকারের মুখপাত্র জ্য মিন তুন বলেন, ‘মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য ও শান্তিপ্রক্রিয়া সমন্বয় কমিটি চীনের সহায়তায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ)-এর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছে।’

জ্য মিন তুন আরও বলেন, আলোচনার ওপর ভিত্তি করে চলতি মাসের শেষের দিকে উভয়পক্ষের মাঝে আরেকটি বৈঠক হতে পারে। বিদ্রোহীদের সাথে এ বৈঠক আয়োজনে সহায়তা করেছে চীন। তবে বৈঠক কোথায় ও কখন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি জ্য মিন তুন। ওই তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ