| ০৭ জুন ২০২৫

দূষিত পানির প্রভাবে চাঁদপুরের মেঘনায় মিলছে না ইলিশ

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 16-05-2025 ইং
  • 24233 বার পঠিত
দূষিত পানির প্রভাবে চাঁদপুরের  মেঘনায় মিলছে না ইলিশ
ছবির ক্যাপশন: দূষিত পানির প্রভাবে চাঁদপুরের মেঘনায় মিলছে না ইলিশ

ডেস্ক নিউজ: 

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন জেলেরা। ফলে মাছ ঘাট ও বাজারে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশের সরবরাহ।  বাজারে যে অল্পসংখ্যক ইলিশ উঠছে সেগুলোর দামও আকাশচুম্বী।

স্থানীয় জেলেরা জানায়, নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও নদীতে নেমে তারা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছে না। একদিকে নদীতে মাছের উপস্থিতি কম অন্যদিকে খরচ মিটিয়ে লাভবান হওয়ার সুযোগও নেই বললেই চলে।  ফলে অনেকেই পেশা বদলে কৃষিকাজে যুক্ত হচ্ছেন।

মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ, এখলাছপুর,  ষাটনল ও আশপাশের মাছঘাটগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বড় ইলিশের দেখা নেই বললেই চলে।  বাজারে যেসব ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। 

এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২৫০০-৩০০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা, আর ৫০০ গ্রামের ইলিশের কেজি দামে হাঁকা হচ্ছে ১২০০ টাকা।  ছোট ইলিশও বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।

বাহাদুরপুর গ্রামের জেলে ইউসুফ কবিরাজ জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর দিক থেকে যেসব বিষাক্ত পানি আসে, ওইটা সব মেঘনায় এসে পড়ে। এজন্যই এ নদীত আগের মতো ইলিশ দেখা যায় না। হেই বিষে প্রতিবছর অনেক মাছ মইরা পানিতে ভেসে উঠে। এতদিন ধরে মাছ ধরেই সংসার চলাইতাম, কিন্তু এখন আর সেভাবে হইতাছে না।  তাই বাধ্য হইয়া অনেকেই এই পেশা ছাইড়া অন্য কাম কাজে যাইতাছে।

ষাটনল মালেপাড়া এলাকার জেলে টিটু বর্মন জানান, আগে এই মেঘনায় জাল ফালাইলে ইলিশ উঠত, এখন নদীতে মাছ নাই বললেই চলে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ