| ০৮ জুন ২০২৫

ভারতের সঙ্গে সংলাপ চায় পাকিস্তান, তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন জয়শঙ্করের

  • আপডেট টাইম : 16-05-2025 ইং
  • 26264 বার পঠিত
ভারতের সঙ্গে সংলাপ চায় পাকিস্তান, তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন জয়শঙ্করের
ছবির ক্যাপশন: ভারতের সঙ্গে সংলাপ চায় পাকিস্তান, তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন জয়শঙ্করের

ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার দেশ নয়া দিল্লির সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।

বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব প্রদেশে কামরা বিমানঘাঁটি সফর করতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।

“শান্তির জন্য আমরা তাদের (ভারত) সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত,” বলেছেন তিনি। শেহবাজ আরও বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার শর্তগুলোর মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুও রয়েছে।

একইদিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

এটাই তালেবান সরকারের সঙ্গে ভারতের কোনো মন্ত্রীর প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক ফোনালাপ, বলছে এনডিটিভি।

ভারত এখনও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয় পক্ষের মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ দেখা গেছে।

এপ্রিলে কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় তালেবান সরকার কড়া নিন্দা জানিয়েছিল।

“আজ সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তার নিন্দায় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আলোচনায় আমি আফগান জনগণের সঙ্গে আমাদের (ভারত) ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব এবং তাদের উন্নয়ন চাহিদায় ভারতের চলমান সহায়তার বিষয়টি তুলে ধরেছি। সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় ও মাধ্যম নিয়েও কথা হয়েছে,” ফোনালাপের পর এক্সে দেওয়া পোস্টে লেখেন জয়শঙ্কর।

ঊর্ধ্বতন তালেবান কর্মকর্তারাও এক্সে পশতু ভাষায় দেওয়া পোস্টে দুই মন্ত্রীর ফোনালাপের খবর এবং সেখানে কী কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে লিখেছেন।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বদলায় ভারত এ মাসে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে তাদের ভাষায় ‘সন্ত্রাসী আস্তানায়’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসলামাবাদ তেঁতে ওঠে। তারা একে পাকিস্তানের ‘সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত’ অ্যাখ্যা দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পাল্টায় ‘অপারেশন বুনইয়া-নুম-মারছুছে’ নামে।

সীমান্তে লাগাতার গোলাবিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশ একে অপরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাতে থাকে। পরিস্থিতি যখন তুঙ্গে, স্থলযুদ্ধের আশঙ্কাও প্রকট হয়ে উঠছে, তখন ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়’ দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ‘অস্ত্রবিরতিতে’ সম্মত হয়।

নয়া দিল্লি যদিও এই ভাষ্য প্রত্যাখ্যান করে বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নয়, ভারত ও পাকিস্তান সামরিক কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনার পর দুই দেশ ‘অস্ত্রবিরতিতে’ রাজি হয়।

বৃহস্পতিবার দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তা পর্যায়ে আরেক দফা আলোচনার পর এই অস্ত্রবিরতির মেয়াদ ১৮ মে রোববার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন।

“শেষ পর্যন্ত এ বিষয়টি দুই দেশের বেসামরিক নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনার পর্যায়েই যাবে,” পাকিস্তানের সেনেটে এমনটাই বলেছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ