| ০৭ জুন ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 14-05-2025 ইং
  • 28124 বার পঠিত
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছবির ক্যাপশন: চট্টগ্রাম বন্দরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ: 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে এসেছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সফরকে ঘিরে চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব পড়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে ঘিরে সমাবর্তী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সুধীজনের প্রাণের মেলা বসেছে। শুরুতেই তিনি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ডে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।  

তিনি বলেন, আমাদের মতো দেশে, একটা বন্দর কয়েকটা টার্মিনাল নিয়ে কথা বলছি। এ রকম ২০-৩০টা বন্দর টার্মিনাল অনেক দেশের আছে। আমাদের হৃদপিণ্ড দিয়ে রোগী বেশি দিন টিকবে না। কাজেই এটাকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ। ভারতে স্বাস্থ্যের জন্য দলে দলে যান না! নেতারা সিঙ্গাপুরে, ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। বন্দর - এখানে কেউ আসতে পারবে না। আমাদের চিকিৎসা দিতে হবে। সেরা চিকিৎসক দিতে হবে। এ হৃদপিণ্ড ক্রমাগত শক্তিশালী ও বৃহত্তর হবে। আমাদের বড় ডাক্তার দিয়ে কাজ করতে হবে। এর জন্য টাকা পয়সা খরচ হবে না। বিল্ড অপারেট ট্রান্সপার পদ্ধতিতে তোমরা বানাও অপারেট করো, আমাদের হস্তান্তর করো। দুনিয়ার সেরা প্রতিষ্ঠান যখন বানাচ্ছে তাদের রোজগার করে টাকা তুলতে হবে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বানাবে। তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। তারা যন্ত্র বানিয়ে দেবে তাদের মেয়াদ শেষে আমরা চালাবো। আমাদের টাকা লাগলো না। আমরা প্রযুক্তির শেষ মাথা থেকে শুরু করলাম।  

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, দ্রুত চুক্তি সই করে ফেলতে পারি। কাজ শুরু করতে পারি। আর অপেক্ষার সুযোগ নেই। ডাক্তারদের হাতে ছেড়ে দিই। যাতে যেটুকু পেয়েছি তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো করতে পারি। যাতে বাংলাদেশিদের স্মরণ করে। সেই গোপন রহস্য উদঘাটন করতে পারি। চট্টগ্রাম সওদাগরদের শহর। নৌকা নিয়ে, পালতোলা জাহাজ নিয়ে কে কোথায় চলে যাবে। পর্তুগিজরা এসেছিল। আমিও দোকানে বসেছি। তারা দেশ বিদেশে যাবে ব্যবসা করবে। ছোটবেলায় দেখেছি জাহাজ বোঝাই ধান, চাল আসতো। আমাদের রক্ত হলো সওদাগরের রক্ত। এদের হাতে ছেড়ে দিলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ায় তারা ছড়িয়ে যাবে। আমাদের রক্তের ভেতরে আছে, ঐতিহ্যের ভেতরে আসে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। বিশাল অর্থনীতি হবে যদি চট্টগ্রাম বন্দরের হৃদপিণ্ড বিশাল হবে। যেকোনো ব্যবসায়ী এসে এখানে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুতবেগে পরিবর্তন হবে।

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত  ও গর্বিত প্রধান উপদেষ্টা বন্দর পরিদর্শনে এসেছেন। যদিও উনার শৈশব থেকে বন্দরকে দেখেছেন। গত আট মাসে আমি বহুবার এখানে এসেছি। যখনি বন্দরের প্রকল্প নিয়ে গেছি প্রধান উপদেষ্টা একবাক্যে পাস করে দিয়েছেন। উনার মমত্ববোধ আছে বন্দর নিয়ে। চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্ষমতা বাড়ছে। আশাকরি প্রধান উপদেষ্টা আবার আসবেন, আমাদের সময় দেবেন। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, ছয় মাস পরে দেখবেন বন্দর অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। আলাদা পোর্ট রোড দরকার আলাদা। মাল্টি মডেল কমিউনিকেশন থাকতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বহর এরপর সোজা চলে আসবে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে। সেখানেই কোটি মানুষের স্বপ্ন কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন, চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের দলিল হস্তান্তর, মহানগরীর জলাবদ্ধতা সম্পর্কিত ব্রিফিং, অক্সিজেন টু হাটহাজারী সড়ক উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্রিফিং ও আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা।   

এরপর চবি সমাবর্তনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, চবির অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি ও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ডক্টর অব লেটারস (ডি-লিট) ডিগ্রি দেওয়া হবে এবারের সমাবর্তনে।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ