বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
ডেস্ক নিউজঃ
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ বাড়ালো ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, হার্ভার্ড এখন থেকে আর কোনো নতুন সরকারি অনুদান পাবে না।
এক চিঠিতে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, যতদিন না তারা প্রশাসনের নির্দিষ্ট কিছু দাবি মানছে, ততদিন ভবিষ্যতের সব ধরনের গবেষণা অনুদান ও অর্থায়ন স্থগিত থাকবে। খবর রয়টার্সর।
ট্রাম্প প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানের নীতিতে পরিবর্তন আনতেই তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্প্রতি একাধিক বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে—যেমন, ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ, শিক্ষার্থীদের জাতিগত বিবেচনায় ভর্তি নীতি এবং রক্ষণশীল চিন্তাধারার শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ট্রাম্পের এই ধরনের পদক্ষেপ ‘অভূতপূর্ব এবং অবৈধ হস্তক্ষেপ’ যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও গবেষণা কার্যক্রমের ওপর সরাসরি আঘাত। অনুদান বন্ধ হলে জীবন রক্ষাকারী অনেক গবেষণাও বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। তারা জানায়, হার্ভার্ড সরকারী অনুদান বন্ধ করার এই বেআইনি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবে।
সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে হার্ভার্ডে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ শুরু হলে তা প্রশাসনের নজরে আসে। ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের হামাস-সমর্থক ও ইহুদিবিদ্বেষী (অ্যান্টিসেমিটিক) বলে উল্লেখ করেন। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, গাজার ওপর ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা মানেই ইহুদিবিদ্বেষ নয়।
হার্ভার্ডের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল থাকলেও তা মূলত স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তার জন্য নির্ধারিত। তাই সরকারের অনুদান বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক গবেষণা থেমে যাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত অবশ্য নতুন নয়। প্রশাসন এর আগেও হার্ভার্ডসহ শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়ন স্থগিতের চেষ্টা করেছে। যা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে।