বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের দাবি জানিয়েছে ইরান। এই দাবির কথা জানিয়েছে আধা-সরকারি ফার্স নিউজ এজেন্সি। জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের চরম লঙ্ঘন। এটি একটি স্পষ্ট ও বেআইনি আগ্রাসন। ইরানি মিশন জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এই বর্বর হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হোক এবং জাতিসংঘ সনদের আওতায় পরিষদের দায়িত্ব অনুযায়ী সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে এই অপরাধের নায়ক দায়মুক্তি না পায় এবং পূর্ণ জবাবদিহির আওতায় আসে। ইরান এই হামলাকে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘ সনদের ২(৪) ধারা অনুযায়ী ‘অবৈধ শক্তি প্রয়োগ’ হিসেবে চিহ্নিত করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা থাকায় এই প্রস্তাবের অনুমোদন পাওয়া কঠিন। তবুও ইরানের এই পদক্ষেপ একটি কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের চেষ্টা এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরান ইতিমধ্যে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (এনএএম) সদস্য দেশগুলোকেও ‘জরুরি বৈঠক আহ্বান ও সমর্থনের আহ্বান’ জানিয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গন প্রশ্ন করছে, জাতিসংঘ কি এই হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে? নাকি বৃহৎ শক্তির ভেতরে ভেটোর রাজনীতিতে আবারও বিচার পেছাবে? ইরান বলছে— এই মুহূর্তে নীরবতা মানে অপরাধে সহায়তা। জাতিসংঘ কী বার্তা দেয়, তা নির্ধারণ করবে যুদ্ধের পরবর্তী কূটনৈতিক গতিপথ।