বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
ইসরাইলের হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার মাটির উপরে অবস্থিত পাইলট সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়েছে। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদকে এ তথ্য জানান জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি। সেইসাথে ইসরাইল ফোরডো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে হামলা চালায় বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক আরো জানান, ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে মূল লক্ষ্যবস্তু করে একাধিক হামলা চালায় ইসরাইল। ইরানের স্থানীয় সময় শুক্রবার তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা নিশ্চিত করে আইএইএ জানায়, স্থাপনার বাইরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষতি ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরে হয়েছে।
ইসরায়েলের চালানো এ হামলার শুরুতেই ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র আগুনে পুড়ে যায়। নাতাঞ্জের এই পারমাণবিক স্থাপনাটি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলে পরিচিত। গত শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। একই ধরনের তথ্য দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভিও।
নাতাঞ্জ শহরটি রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এবং সেখানেই রয়েছে ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক স্থাপনা। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য অত্যাধুনিক সেন্ট্রিফিউজ তৈরি ও সংযোজনের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এটি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যে ভিডিওগুলো সিএনএন যাচাই করেছে, তাতে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রের দিক থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।