বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)’র নতুন নেতৃত্ব নিট রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাব্য ও বর্তমান ক্রেতাদের নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে একাধিক রোড শো ও প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, তাদের আবারও উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ শুরু করবে বিকেএমইএ।
একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সংগঠনের নতুন সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর বিকেএমইএ প্রভাবশালীদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নিট রপ্তানির প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বরাবরই সমস্যা-সংকটের মধ্যে বাজার ধরে রেখেছেন। এখানে যেমন জ্বালানি সংকট আছে, তেমনি শ্রমিক অসন্তোষ ও উৎপাদন ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাও নিত্যদিনের ব্যাপার। তবুও নিট পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বিশাল।
সরকারের নিবিড় সহযোগিতার অভাবে দীর্ঘদিন পোশাক খাতে স্থবিরতা ছিল। এই স্থবিরতার জন্য কিছু মালিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী বলে মনে করেন তিনি। কারণ হিসেবে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন নেতৃত্ব দেবেন, তখন তাদের রাজনীতিতে থাকলে সেই নেতৃত্ব সঠিক গতি পায় না। উদ্যোক্তাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক লেজুড়ভিত্তিক ব্যবসায়ী নেতাদের ভূমিকা রাখার খুব একটা সুযোগ থাকে না। এ কারণেই বিগত দেড় দশকে পোশাক খাত খুব একটা এগিয়ে যেতে পারেনি।
সম্প্রতি নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি হয়েছেন মোহাম্মদ হাতেম। বিকেএমইএ সদস্যদের জন্য নতুন পরিষদের চমক কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিট রপ্তানিকারকরা বছরের পর বছর সমস্যার মধ্যে তাদের শিল্পের চাকা সচল রেখেছেন। এই খাতে কখনো গ্যাস সংকট, আবার কখনো বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। মাঝে মাঝেই দেখা দেয় শ্রমিক অসন্তোষ।
অন্যদিকে, নতুন বাজার সম্প্রসারণে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মিশনে যেভাবে কাজ করা দরকার ছিল, প্রায় এক দশক ধরে সেভাবে তা হয়নি। মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারাও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দলীয় পরিচয় বড় হয়ে ওঠায় কোনো জবাবদিহিতা ছিল না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। বিকেএমইএ’র সদস্য কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানি বাজার উদ্ধার ও সম্প্রসারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে বিকেএমইএ’র নতুন নেতৃত্ব।