বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার খবর ফলাও করে প্রচার করেছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি ও পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। রোববার সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিলে দেশ দুইটির মিডিয়া এ খবর ফলাও করে প্রচার করে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে। যার ফলে দলটি আবারও নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী দলটির নিবন্ধনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রতিবেদনে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টের আদেশে বাতিল করা হয়। তবে সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটি ওই আদেশের পুনর্বিবেচনার আবেদন করে এবং অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এই রায় এমন সময় এলো যখন গত ২৭ মে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দেয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার কথিত অভিযোগে ২০১৪ সালে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকারের সময় জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং দলটির বহু শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়।
পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন পুনর্বহাল করেছে। এর মাধ্যমে ২০১৩ সালের হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। যে রায়ের ফলে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মভিত্তিক দলটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী তাদের আইনগত অবস্থান হারিয়েছিল শেখ হাসিনার শাসনামলে। তিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং পরবর্তীতে ভারতে নির্বাসনে চলে যান। তার শাসনের শেষদিকে, ২০২৩ সালের আগস্টে, তিনি নির্বাহী আদেশে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।